স্বদেশ ডেস্ক:
টুইটারে খাতির করে নয়জনকে হত্যা করেছিলেন জাপানের তাকাহিরো শিরাইশি (২৯) নামে এক যুবক। গতকাল বুধবার টোকিওর আদালতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন তাকাহিরো। ‘টুইটার কিলার’ খ্যাত এই ব্যক্তি আদালতে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সবই সঠিক। তবে তার আইনজীবীরা যুক্তি দেখান যে তার অভিযোগগুলো হ্রাস করা উচিত। কারণ হত্যার শিকার সবাই তাকে স্পষ্টতই হত্যার অনুমতি দিয়েছিল।
এর আগে, ২০১৭ সালে তার বাসা থেকে মরদেহের শরীরের অংশ পাওয়ার পর তাকাহিরোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপরই জাপানে চাঞ্চল্য সৃষ্টি এই ঘটনা নিয়ে এবং এটি একটি হাই-প্রোফাইল মামলায় পরিণত হয়।
আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকাহিরো শিরাইশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
কী ঘটেছিল?
আইনজীবীরা জানান, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তাকাহিরো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে তিনি এমন সব নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন যারা আত্মহত্যা করতে চান। যাদেরকে তিনি হত্যার সহজ লক্ষ্য হিসেবে পেয়ে যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার শিকার নয়জনের মধ্যে আটজনই ছিলেন নারী। এদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ১৫ বছর। তাকাহিরোর একমাত্র পুরুষ শিকারের বয়স ছিল ২০ বছর। বান্ধবীর সন্ধান করতে গিয়ে তার সঙ্গে তাকাহিরোর যোগাযোগ হয়।
২৯ বছর বয়সী তাকাহিরো তার হত্যার শিকার সবাইকে বলেন, তিনি তাদের মরতে সহায়তা করবেন। এর পাশাপাশি তিনি নিজেও আত্মহত্যা করবেন বলে জানান কয়েকজনকে।
টুইটার প্রোফাইলে তিনি লিখেন, ‘আমি এমন কিছু মানুষকে সাহায্য করতে চাই যারা সত্যি কষ্টে আছে। দয়া করে আমাকে যেকোনো সময় সরাসরি যোগাযোগ করুন।’
এক তরুণী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে সিরিয়াল কিলিংয়ের এই বিষয়টি প্রথম পুলিশের নজরে আসে। ওই তরুণী তাকাহিরোর শিকারের মধ্যে একজন ছিলেন।
পরে কর্মকর্তারা টোকিওর নিকটবর্তী জাপানের জামা শহরে তাকাহিরোর ফ্ল্যাটটি পরিদর্শন করেন। যেখানে তারা মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখতে পায়।