কারামুক্ত হয়েছেন স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টায় বাবুল আক্তারকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। আদালতের রিলিজ আদেশ গত রবিবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। তিন দিন পর আজ বাবুল আক্তারকে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের অন্তবর্তী জামিন স্থগিত চেয়ে আজ তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন আবেদন করেন।তবে সাড়া দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আজ শুনানির পর ওই আবেদনে কোনো আদেশ দেননি বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালত। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তী জামিন বহাল থাকে। এতে বাবুল আক্তারের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। তখন তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই দিনই মাহমুদার বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুলসহ ৮ জনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেদিনই বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
বাবুল ও শ্বশুরের করা দুটি মামলা তদন্ত করে পিবিআই। শ্বশুরের মামলায় ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এই প্রতিবেদন গ্রহণ করে বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার আগে বাবুল আক্তারের করা মামলায় ৯ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র ওই বছর ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। গত বছর ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। ৯ এপ্রিল শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ।