স্বদেশ ডেস্ক: লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূল সংলগ্ন ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ৩৭ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় দায়ী মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া ও মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন আদালত। আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপিত হলে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এ বিষয়ে মৌখিক নিন্দেশনা দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টকে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এমদাদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী এমদাদুল হক সুমন। আবেদনে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত মানবপাচার সংক্রান্ত ঘটনার তদন্ত চেয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা, প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সি ও মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, ২০১২ সালের মানবপাচার দমন আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিতের নির্দেশনাসহ নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। পাশাপাশি আবেদনে প্রতারক ট্রাভেল এজেন্সি ও মানবপাচার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে আরজি জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় আবেদনে।