স্বদেশ ডেস্ক:
ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড নারীদেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু অস্বাভাবিকও হতে পারে। তখন দেখা পারে বন্ধ্যত্ব সমস্যা। ঋতুস্রাব অস্বাভাবিক কিনা, তা বোঝার উপায় হলো- নারীর ঋতুস্রাব হওয়ার সময় হয়ে থাকে ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭ দিনের একটু বেশি সময় ধরে অল্প করে রক্তস্রাব হওয়াও স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে যদি রক্তপ্রবাহ অতিমাত্রায় হলে তা অবশ্যই অস্বাভাবিক। রক্তপ্রবাহের পরিমাণ নারীভেদে ভিন্ন হতে পারে। কারও অনেক কম হয়, কারও বেশি হয়ে থাকে। আবার কারও মাঝামাঝি পর্যায়ে হয়। স্বাভাবিক রক্তস্রাবের পরিমাণ হলো, অল্প করে দিনে কয়েকবার হওয়া।
দিনে ৩টি প্যাড পরিবর্তন করাও স্বাভাবিক। তবে মধ্যরাতে একই পরিমাণ প্যাড পরিবর্তন করা অস্বাভাবিক। কেননা স্বাভাবিক নিয়মে রাতে ঋতুস্রাব একটু কম হয় অনেকের। কারণ শারীরিক পরিশ্রমের ওপর এর পরিমাণ বাড়তে পারে। রাতে পরিশ্রম হয় না বলে এর পরিমাণ কম হয়ে থাকে। ঋতুস্রাবের প্রথম কয়েকদিন রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিকভাবে একটু বেশি থাকবে। তাই বলে প্রতিঘণ্টা বা প্রতি দুঘণ্টায় প্যাড পরিবর্তন করা অস্বাভাবিক।
বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময় ২৮ দিন। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমান ঋতুস্রাব থেকে পরবর্তী ঋতুস্রাবের মধ্যবর্তী সময় ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ২১ দিনের কম ও ৩৫ দিনের বেশি হওয়া আবার একেবারে অস্বাভাবিক। আর অস্বাভাবিক হলেই চিকিৎসা নিতে হবে।
লেখক : প্রভাষক ও হোমিও কনসালট্যান্ট, আমেনা বেগম