স্বদেশ ডেস্ক: প্রতিষ্ঠার ৮৭ বছর পর প্রথম কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো পুরোনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। রহমতগঞ্জ সে অর্জনের পথে বিদায় করে দিয়েছে আরেক ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ফেডারেশন কাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জ ১-০ গোলে মোহামেডানকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে ঐতিহাসিক ফাইনালে।
পুরোনো ঢাকার আরেক ক্লাব ফরাশগঞ্জ কয়েক বছর আগে স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফির হাহাকার ঘুচিয়েছিল। এবার কি পারবে তাদেরই পড়শি ক্লাব রহমতগঞ্জ? উত্তর মিলবে ৫ জানুয়ারি ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে। রহমতঞ্জের প্রতিপক্ষ পাওয়া যাবে শুক্রবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। যেখানে গতবারের রানার্সআপ বসুন্ধরা কিংস খেলবে প্রিমিয়ার লিগে নবাগত বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে।
গ্রুপপর্বে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে গোলশূন্য এবং শেখ জামালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল রহমতগঞ্জ। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পুরোনো ঢাকার ক্লাবটি টাইব্রেকারে হারায় ফেডপারেশন কাপের সবচেয়ে বেশিবার শিরোপা জেতা এবং সর্বশেষ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে। আবাহনীর পর জিলানীর দল বিদায় করে দিলো মোহামেডানকে।
ফেডারেশন কাপের শুরু থেকেই ছন্দ ছিল মোহামেডানের। শক্তিশালী দলগুলো বিদায় নেয়ার পর মোহামেডান সমর্থকদের প্রত্যাশা বেড়েছিল অনেক। কিন্তু মোহামেডান আসল সময়ে ঠিক কাজটি করতে পারেনি। ১৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়া মোহামেডান গোল শোধ দিতে পারেনি ৭৪ মিনিট চেষ্টা করেও। এর মধ্যে একবার বদলি ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজিব বল জালে পাঠালেও সেটা বাতিল হয়ে যায় সহকারী রেফারি শফিকুল ইসলাম ইসলামের বিতর্কিত অফসাইটের সিদ্ধান্তে।
এর বাইরে মোহামেডান শেষ মুহূর্তে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। রহমতগঞ্জের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী এগিয়ে যাওয়ার পর থেকেই রক্ষণ জমাটের যে কৌশল নেন, তাতে পুরোপুরি সফল হয়েছে। রহমতগঞ্জকে প্রথম ফাইনালে উঠিয়ে হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন জাতীয় দলের সাবেক এ সহকারী কোচ।