স্বদেশ ডেস্ক: অনিশ্চিত খেলা ক্রিকেট। কখন কী হয়, কেউ বলতে পারে না। এই মুহূর্তে ম্যাচে এই পক্ষের পাল্লা ভারী, তো পরের মুহূর্তেই পালটে যায় ছবিটা। ঠিক যেমন হল সাউথ এশিয়া গেমসে। যেখানে ন’জন ব্যাটসম্যানই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন শূন্য হাতে। দলের মোট রান আট।
ক্রিকেটের বাইশ গজে নানা অঘটন ঘটে। আবার মজার মজার রেকর্ডও তৈরি হয়। কিন্তু নেপালে যা হল, তা যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল। সাউথ এশিয়া গেমসে মালদ্বীপের মহিলা ক্রিকেট দলের যে এমন অভিজ্ঞতা হবে, তা হয়তো তাদের অতিবড় শত্রুও ভাবেননি। শনিবার নেপালের বিরুদ্ধে মাত্র আট রানে গুটিয়ে যায় মালদ্বীপ। ন’জন ক্রিকেটারই রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ। বিপক্ষের দুর্দান্ত বোলিং নাকি ব্যাটসম্যানদের চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব? তা আলোচনা সাপেক্ষ। কিন্তু মজার বিষয় হল এমনটা সত্ত্বেও দল আট রান করল।
কীভাবে? নিশ্চয়ই ভাবছেন অন্য দুই ব্যাটসম্যান সেই রান করেছেন। কিন্তু না, আপনার ভাবনা ভুল। ওপেনার আইমা আশাথ ১২ রানে করেন মাত্র এক রান। অন্যজন শূন্য রানে অপরাজিত। বাকি সাতটি রান আসে এক্সট্রা থেকে। জবাবে কোনও উইকেট না হারিয়ে মাত্র সাত বলেই সেই রান তুলে ফেলে নেপাল। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম রান তাড়া করার নজিরও গড়ল হোম ফেভরিটরা। আর মহিলাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ৮ রান হল দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
২০১৭ সালে মালদ্বীপ মহিলা জাতীয় ক্রিকেট দলকে স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি। গত সপ্তাহেই নেপালের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে তারা। সেখানে ১১৫ রানে হারে দল। আর দিন কয়েক আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে এই নেপালের কাছেই ২৪৯ রানে হারে তারা। ২৫৬ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬ রানেই অল আউট হয়ে যায় মালদ্বীপ। এমন লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের পরও কি আইসিসি স্বীকৃত টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাওয়া উচিত মালদ্বীপের মহিলা দলের? উঠছে প্রশ্ন।