স্বদেশ ডেস্ক:
হুমায়ূন আহমেদ যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেখানেই সোনা ফলেছে।
প্রয়াণের এক দশক পরও পাঠকনন্দিত হুমায়ূন। এখনো একুশে বইমেলায় তাঁর বইয়ের ব্যাপক বিক্রি হয়। আড্ডায় অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে তর্কবিতর্ক জমে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাঁর শিল্পভুবন নিয়ে হচ্ছে উচ্চতর গবেষণা।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মন্তব্যটি স্মরণীয়। হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণের পর তাঁর ৬৪তম জন্মদিন উদযাপনের অংশ হিসেবে বের হয় ‘হুমায়ূন আহমেদ স্মারকগ্রন্থ’। স্মারকগ্রন্থের সম্পাদনা পরিষদের সভাপতি আনিসুজ্জামান এর মুখবন্ধে লেখেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ যে কালজয়ী হবে, সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ আমাদের নেই। এর কারণ নিজের কালকে সে প্রবলভাবে আলোড়িত করতে সমর্থ হয়েছিল।’
হুমায়ূন আহমেদের বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, মা আয়েশা ফয়েজ গৃহিণী। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব লব্ধপ্রতিষ্ঠ কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক। পেশাজীবনে হুমায়ূন আহমেদ শিক্ষকতায় ছিলেন দীর্ঘদিন। সাহিত্যে অবদানের জন্য হুমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদকসহ বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।
আজ সোমবার গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে উদযাপিত হবে হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন। নুহাশপল্লীর তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম বুলবুল কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, মোমবাতি প্রজ্বালন, সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে লেখককে স্মরণ করবে পরিবার, স্বজন ও ভক্ত পাঠকরা।