শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

পাগলা মস‌জি‌দের দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

পাগলা মস‌জি‌দের দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

স্বদেশ ডেস্ক:

এবার কি‌শোরগঞ্জ পাগলা মস‌জি‌দের দানবাক্স খু‌লে পাওয়া গে‌ল ১৫ বস্তা টাকা। সাথে মিলেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশী মুদ্রাও।

শনিবার সকা‌লে পাগলা মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স ‌খোলা হয়। তিন মাসের ব্যবধানে কোনো দানবাক্সে বিপুল পরিমাণে অর্থ মিলল।

সকালে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় এক‌টি ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, মস‌জিদ ক‌মি‌টির ৩৫ জন, মসজিদ ক্যাম্পাস মাদরাসার দেড় শতা‌ধিক ‌শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক মানুষ টাকা গণনার কা‌জে অংশ নেয়।

‌কি‌শোরগ‌ঞ্জের অতি‌রিক্ত জেলা ম্যা‌জি‌স্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সারা দিন ধ‌রে টাকাগু‌লো গণনার কাজ চল‌বে। সন্ধ্যা নাগাদ জানা যা‌বে দা‌নের টাকার প‌রিমাণ।

এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন তিন কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিন মাস এক দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হলো।

মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করে থাকেন।

জনশ্রুতি রয়েছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।

দা‌নের টাকা থে‌কে নিজস্ব খরচ মি‌টি‌য়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ- মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়। টাকা দেয়া হয় নানা সামা‌জিক কা‌জে। বা‌কি টাকা রুপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়।

পাগলা মস‌জিদ প‌রিচালনা ক‌মি‌টির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পার‌ভেজ জানান, মস‌জি‌দের দানের টাকা দি‌য়ে শত কো‌টি টাকা ব্য‌য়ে নতুন মস‌জিদ কম‌প্লেক্স নির্মা‌ণের উদ্যোগ নেয়া হ‌য়ে‌ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877