স্বদেশ ডেস্ক: পশ্চিমারা আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেনি বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। শনিবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি মার্কিন বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: একমাত্র ছেলে ইজহান মির্জা মালিককে পবিত্র কুরআনের হাফেজ বানাতে চান পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। শনিবার জিও নিউজের উর্দু ভার্সনের এক প্রতিবেদনে মালিকের এই ইচ্ছার বিষয়টি উঠে আসে। সংবাদমাধ্যমটি বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনকে এফ-১৬ এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভ্যান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার জাপানে বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: পটুয়াখালীতে বিএনপির জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন। এ সময় বিএনপির কার্যালয়ে বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। শনিবার (২০ মে) বিকেলে সিলেট নগরের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: এক সপ্তাহের মধ্যে নিউইয়র্ক সিটিতে পৃথক ঘটনায় তিন এমটিএ বাসচালক আক্রান্ত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্বকারী এমটিএ বাস অপারেটররা জানান, পাঁচটি বরোর মধ্যে তিনটিতেই হামলা হয়েছে। অবশ্য এগুলো সঙ্ঘবদ্ধভাবে হয়েছে, তা বলা যায় না। তবে এতে যে নগরীর ট্রানজিট কর্মীরা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছেন, তা ফুটে ওঠেছে। এক বিবৃতিতে টিডব্লিউইউ লোকাল ১০০ জানায়, ‘এসব হামলাকারী প্রমাণ করেছে যে ট্রানজিট চাকরি কতটা বিপজ্জনক। তাছাড়া আমরা প্রতিটি দিন কত ঝুঁকিতে থাকি, সেটাও বোঝা গেছে।’ প্রথম হামলাটি হয় শুক্রবার রাতে। ওই সময় এক পুরুষ বাসচালক বাস ডিপোতে যাওয়ার সময় কুইন্স এলাকায় আক্রান্ত হন। জনৈক ব্যক্তি তার মুখে ঘুষি মারে। পরের দিন ৩৯ বছর বয়স্ক এক বাস অপরেটরকে এক যাত্রী প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। বাস অপারেটরকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: আদালতের তারিখ ছাড়াই বর্ডার পেট্রোল ৬,৪১৩ জনের বেশি অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্য, আদালত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর ছাড়া পাওয়াদের মধ্য থেকে ২,৫৭৬ জনকে আটকে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বর্ডার পেট্রোলের প্রধান অপারেশন্স কর্মকর্তা ডেভিড বিমিলার। তিনি জানান, ‘শর্তসাপেক্ষে প্যারোল’ নীতির আওতায় ওইসব লোককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, অভিবাসীদের স্থাপনাগুলোতে জনসংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়লে আদালতের তারিখ ছাড়া এবং তাদেরকে শনাক্ত করার সক্ষমতা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ওই আইনে। তবে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশের পরও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ তাদের প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে। ‘শর্তসাপেক্ষে প্যারোল’ নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্তরা ছাড়াও শরণার্থী হিসেবে আদালতের তারিখ নিয়েও অনেকে দেশে প্রবেশ করেছে। প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের বিষয়টি পুরোপুরি যাচাই করেই তাদেরকে ছাড়া হয়েছে। এনবিসি নিউজ প্রথমে বাইডেন প্রশাসনের ‘শর্তসাপেক্ষে প্যারোলের’ নিয়মের কথা প্রকাশ করেছে। টাইটেল ৪২ কোভিড নিষেধাজ্ঞা অবসানের সামান্য আগে এই নিয়ম চালু করা হয়। ফ্লোরিডা অবশ্য এই নিয়মটি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছে। বাইডেন প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকালে এই নিয়ম কার্যকর করেছে। এদিকে টাইটেল ৪২-এর মেয়াদ যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত এই আইনের বলে ২৫ লাখের বেশি লোককে সীমান্ত অতিক্রম থেকে বিরত রাখ হবে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, টাইটেল ৪২ আনুষ্ঠানিকভাবে অবসান হয়ে গেলে দিনে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার লোক সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে। অবশ্য, এমন আশঙ্কার মধ্যেও সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যা বেশ কমেছে। ওই দিন অবৈধ ৩,৭০০-এর কম লোক সীমান্তে বর্ডার পেট্রোলের মুখোমুখি হয় বলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এছাড়া কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন প্রসেসিং সেন্টারগুলোতেও অভিবাসীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। বুধবার যেখানে এসেছিল ২৮ হাজারের বেশি, সেখানে শুক্রবার এসেছিল ১৮ হাজারের বেশি লোক। বিস্তারিত...
স্বদেশ ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারি নিউইয়র্কে কেড়ে নিয়েছে ৮০ হাজার প্রাণ। আর যুক্তরাষ্ট্রে মোট মারা গেছে ১১ লাখ ৩০ হাজার। এত বিপুল মৃত্যুর ফলে কোভিড-১৯ আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেও মানুষের জীবনের প্রতিটি বিভাগে এখনো এর নিষ্ঠুর ছাপ রয়ে গেছে। ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, কোভিড-১৯-এর সময় নিউইয়র্ক রাজ্যে মারা গেছে ৮০,৪৮৫ জন। এদের প্রায় অর্ধেক নিউইয়র্ক সিটিতে। করোনা মহামারির প্রাথমিক কেন্দ্র ছিল নিউইয়র্ক সিটি। তবে খুব দ্রুততার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাকি অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা জরুরি অবস্থা বিরাজ করেছিল। এই সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় ১১ লাখ ২৭ হাজার ৯২৮ জন। করোনা বিদায় নিয়েছে বলে সরকারি ঘোষণা সত্ত্বেও অনেক নির্বাচিত কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিশেষ করে প্রবীণ ও শারীরিকভাবে নাজুক লোকদেরকে কোভিড টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়ে যাচ্ছেন। গভর্নর ক্যাথি হোকুল তার সর্বশেষ কোভিড আপডেটে বলেছেন, ‘যদিও ফেডারেল হেলথ ইমার্জেন্সির অবসান হয়েছে, তব্ওু আমি নিউইয়র্কের প্রতিটি অধিবাসীকে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলব এবং নিজেদেরকে, নিজেকের প্রিয়জনকে, সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে সম্ভব সকল হাতিয়ার ব্যবহার করতে অনুরোধ করব।’ তিনি বলেন, ‘টিকার ডোজে হালনাগাদ থাকুুন। আর সমাবেশে বা ভ্রমণে যাওয়ার আগে পরীক্ষা করিয়ে নিন। পরীক্ষায় পজেটিভ হলে সম্ভাব্য চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।’ সিটি ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডা. আয়মান আল-মহানদেস বলেন, মহামারির অবসান হওয়ার ঘোষণা মানে এই নয় যে সবকিছু এখন ঠিক হয়ে গেছে। এখনো বিপুলসংখ্যক রোগী ‘লং কোভিডে’ ভুগছেন। এই রোগে ব্রেইন ফগ, শ্বাসকষ্ট, জৈবিক চাহিদা হ্রাস পাওয়া চুল পড়ে যাওয়ার মতো জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মেডিক্যাল চেক-আপে যাচ্ছেন না, তাদের অনেকে শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। অথচ সময়মতো চিকিৎসকের কাছে গেলে ক্যান্সারের প্রাথমিক স্তরেই বিষয়টি শনাক্ত হতো। তিনি বলেন, ‘যাদের সুস্থ হতে সময় লাগে, তাদের প্রতি আমাদেরকে স্পর্শকাতর থাকতে হবে। তাদের জন্য মহামারি এখনো শেষ হয়নি।’ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশেষভাবে নিউইয়র্কের মানুষের জীবন পদ্ধতিকে শেষ করে দিয়েছে। ভীত লোকজন এই অঞ্চল ছেড়ে চলে গেছে, চাকরি হারিয়েছে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে পশ্চাদপদ ও সংখ্যালঘুদের ওপর করোনা সবচেয়ে ভয়াবহভাবে আঘাত হেনেছে। করোনার টিকা ও ওষুধ আবিষ্কৃত হওয়ার আগে পর্যন্ত মৃত্যু ছিল অপ্রতিরোধ্য। বিশেষ করে বয়স্ক ও নাজুক লোকজন সর্বোচ্চ সংখ্যায় প্রাণ হারিয়েছে। নার্সিং হোমগুলো হয়ে পড়েছিল মৃত্যুপুরি। এমনকি যেসব লোক তথা চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল স্টাফরা পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে ব্যাপক হারে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিস্তারিত...