স্বদেশ ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রখ্যাত দার্শনিক আলেকসান্দার দাগিনের মেয়ে দারিয়া দাগিনাকে তার গাড়িতে বোমা পেতে হত্যা করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রনকে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া। আলেকসান্দার দাগিন উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক তাত্ত্বিক এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি সোমবার মস্কোয় ঘোষণা করেছে, তারা দারিয়া দাগিনা হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছেন এবং এতে ইউক্রেনের হাত থাকার শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন।
২৯ বছর বয়সী দাগিনা শনিবার একটি অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে মস্কোর কাছে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। এফএসবি বলছে, নাতালিয়া ভুক নামে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা তার মেয়েকে নিয়ে গত মাসে রাশিয়া যান এবং সেখানে দারিয়া দাগিনার বাসার কাছে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন। সেখান থেকে তিনি দারিয়ার গতিবিধির ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখেন। তার দেয়া তথ্যমতে ইউক্রেনের গুপ্তচররা দারিয়ার গাড়িতে বোমা পেতে রাখে এবং দূর নিয়ন্ত্রণের সাহায্যে সেটির বিস্ফোরণ ঘটায়। দারিয়া নিহত হওয়ার পর নাতালিয়া ভুক এস্তোনিয়ায় পালিয়ে গেছে বলে এফএসবি জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ গোয়েন্দা সংস্থার এ বর্ণনাকে ‘অলীক কল্পনা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি শনিবার দারিয়া নিহত হওয়ার পরপরও একবার ওই হত্যাকাণ্ডে কিয়েভের হাত থাকার দাবি নাকচ করে দিয়েছিলেন।
আলেকসান্দারের মেয়ে দারিয়া একজন পরিচিত সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ছিলেন। তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের সমর্থক ছিলেন। পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ অভিযান এখনো চলছে।
রুশ সরকারে আলেকসান্দারের কোনো পদ-পদবি নেই। তবে তিনি পুতিনের অত্যন্ত কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত। অনেকে তাকে পুতিনের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ বলেও অভিহিত করেন। আলেকসান্দরের উগ্র জাতীয়তাবাদী লেখা পুতিনের বিশ্বদর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে আসছে বলে মনে করা হয়। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের সাথে আলেকসান্দর ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বলে ধারণা করা হয়।