স্বদেশ ডেস্ক: যাদের কাঁধে দেশের মানুষের নিরাপত্তার ভার, তারই যদি হয়ে যান ধর্ষক তাহলে নিরাপদ আশ্রয় কোথায়? প্রশ্নটি উঠেছে থানা হাজতে নারী আসামিকে ৫ পুলিশ মিলে গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর। এ ঘটনায় করা তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ বলেছেন, এই অভিযোগে ওসি উসমান গনি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে ক্লোজ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন আদালতের কোনো কিছু পাইনি। এমনকি ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট (শুক্রবার) ওই নারী (২১) যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। এ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহমূলকভাবে ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গনি পাঠান তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
পরদিন শনিবার ওই নারীকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার দেখিয়ে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর ওই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের কথা বলে দেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।