স্বদেশ ডেস্ক: জামালপুর শহরের মিয়াপাড়ায় নতুন কুড়ি কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই কোচিংয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানো কোমল পানীয় খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া মোবাইলে ইউটিউব-এ শিক্ষার্থীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানো হতো বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে নতুন কুড়ি কোচিং সেন্টারে অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং অভিযুক্ত ইংরেজি শিক্ষক সরোয়ার হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের চাপে অভিযুক্ত ওই ইংরেজি শিক্ষককে রাতেই চাকরিচ্যুত করেছে এই কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, ইংরেজি শিক্ষক সরোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোরপূর্বক কোমল পানীয় বাইরে থেকে ক্রয় করে আনতে বাধ্য করে। শিশুদের এনে দেয়া এসব পানীয়ের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে শিশুদের খাওয়ানো হয় এবং ইউটিউব-এ খারাপ ভিডিও দেখানো হয় শিশুদের। না খেলে শিশুদের ডাস্টার দিয়ে মারধর করা এবং প্যান্ট খুলে বালিকাদের কক্ষে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। এসব ঘটনা বাড়ির লোকজনকে বললে ওই শিশুকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিতো ওই শিক্ষক।
এদিকে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন নতুন কুড়ি কোচিং সেন্টারের ইংরেজি শিক্ষক সরোয়ার হোসেন।
এ ব্যাপারে নতুন কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান জামান কল্লোল জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নতুন কুড়ি কোচিং সেন্টারে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো হয়। এই কোচিংয়ে সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর রয়েছে।