স্বদেশ ডেস্ক:
রেকর্ড পরিমাণ খরার কারণে ৬০ লাখের বেশি সোমালি নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সোমবার মোগাদিশুতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সোমালিয়ার মানবিক বিষয়ক বিশেষ দূত আবদুর রহমান আবদিশাকুর ওয়ারসামেহ।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী মানুষের এই সংখ্যা দ্রুত সোমালিয়ার জনসংখ্যার অর্ধেকের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
ওয়ারসামেহ বলেন, সোমালিয়ার ৮৪টি জেলার মধ্যে ৭২টিতেই খরা আঘাত হেনেছে এবং তাদের মধ্যে ছয়টি ইতোমধ্যেই চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণে দুর্ভিক্ষের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের জনগণ এখন মরতে শুরু করেছে। কিছু কিছু এলাকায় দূর্ভিক্ষ আসন্ন এবং খরা দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে। ওয়ারসামেহ আরো বলেন, দেশ ও বিদেশের সোমালি জনগণের উচিত্ কিছু দায়িত্ব নিয়ে আমাদের এখুনি সাহায্য করা।
বিশেষ দূত সোমালিয়ার ঠিক কতজন মানুষ ক্ষুধায় মারা গেছে, তার কোনো পরিসংখ্যান দেননি। তবে অভাবে রয়েছে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর আবেদন জানান।
ওয়ারসামেহ বলেন, বর্তমান খরা, চল্লিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। এর প্রভাবে গ্রামাঞ্চল থেকে প্রায় ৭ লাখ সোমালি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের কাছাকাছি শহরে সাহায্য চাইতে বাধ্য করেছে।
তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘ এবং সাহায্য সংস্থাগুলো খরা ত্রাণের জন্য ১৪০ কোটি ডলারের অনুরোধ করেছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে মাত্র ৫.৮ কোটি ডলার।
ওয়ারসামেহ বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা বর্তমানে কোভিড মহামারী, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের সঙ্কটের উপরই বেশি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।
পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ছাড়াই হর্ন অফ আফ্রিকা বা আফ্রিকার শৃঙ্গ অঞ্চলটি এই পঞ্চমবারের মতো বৃষ্টিবিহীন বর্ষা মৌসুমের মুখোমুখি হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো সোমবার সতর্ক করেছে, সোমালিয়া এবং এর প্রতিবেশী দেশ ইথিওপিয়া এবং কেনিয়া জুড়ে অনাহারের হুমকি আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।