স্বদেশ ডেস্ক:
অর্থপাচারের মামলায় ‘ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের’ সাজাপ্রাপ্ত ৪৪ আসামির মধ্যে ৩৯ জনই পলাতক। মামলা দায়েরের পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন। এ অবস্থায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, গত দশ বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসামিদের কেন গ্রেপ্তার করতে পারেনি? রায়ের পর কি তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে? নাকি তাদের দণ্ড শুধু কাগজে-কলমেই থেকে যাবে?
চার হাজার ১১৯ কোটি টাকা পাচারের এক মামলায় গত বৃহস্পতিবার রায় দেন আদালত। এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের ১২ বছরের কারাদ- এবং ২শ কোটি টাকা অর্থদ- হয়। চার বছরের কারাদ- ও সাড়ে ৩ কোটি টাকা অর্থদ- হয় সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব) হারুন-অর-রশিদের। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।
গত দশ বছরে আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ার বিষয়ে দুদকের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দু-একজন আসামি নন, ৩৯ জন আসামি দশ বছর ধরে পলাতক রয়েছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ তৎপরতা থাকলে এমনটা হওয়ার কথ নয়।’
পলাতক আসামিরা হলেন- ডেসটিনির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারাহ দীবা, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জমশেদ আরা চৌধুরী, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন সুমন, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মো. সাইদুল ইসলাম খান রুবেল, মজিবর রহমান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী ফজলুল করিম, সফিকুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সিকদার কবিরুল ইসলাম ও সুনীল বরুন কর্মকর।
পলাতক আসামির তালিকায় আরও আছেন পরিচালক ফরিদ আক্তার, এসএম শহিদুজ্জামান চয়ন, আব্দুর রহমান তপন, মেজর সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির বিপ্লব, এএইচএম আতাউর রহমান, জিএম গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, সফিকুল হক ও মোল্লা আল আমিন।
এদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির করা হয়। সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব) হারুন-অর-রশিদ, লে. কর্নেল (অব) মো. দিদারুল আলম, জেসমিন আক্তার, জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন।