সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞান জগতে সাড়া জাগানো পাঁচ নারী……

বিজ্ঞান জগতে সাড়া জাগানো পাঁচ নারী……

স্বদেশ ডেস্ক: জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশ্বের নারীরা এখন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। যে স্টেশনে আগে কোনো নারীর প্রবেশাধিকার ছিল না, এখন সেই স্টেশনেরই প্রধান কর্মী হিসেবে দেখা যায় নারীদের। অধ্যাপক ডেম জোকোলিন বেল বুর্নেল ১৯৫০ সালের দিকে তিনি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের একটি স্কুলে পড়তেন। অন্য মেয়েদের মতো তাকেও বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে দেওয়া হয়নি। তার মতে, ‘ছেলেদের পরীক্ষাগারে পাঠানো হলেও মেয়েদের পাঠানো হতো গৃহস্থালি কাজ শেখার কক্ষে।জোকোলিন বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নভোঃবস্তুবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। বেশ কিছু আবিষ্কারের জন্য ইতোমধ্যেই তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ড. নিকোলা বিয়ারের বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক শৈশব থেকেই। বায়োকেমিস্ট্রিতে ডিগ্রি অর্জনের পর অক্সফোর্ড থেকে পিএইচডি করেন তিনি। এ ছাড়াও এমআইটি ও হার্ভার্ডেও ছিল তার বিচরণ। নোভো নরডিস্ক রিসার্চ সেন্টারের জীববিদ্যা বিভাগের প্রধান তিনি এখন। কেনিয়ার বাসিন্দা গ্লাডিস জেটিচ। দেশটি থেকে যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি বলেন, যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগে পড়তে যাওয়ার প্রথম বছরে আমার ক্লাসের অধিকাংশ ছেলেই মনে করত আমি কিছু পারব না। কিন্তু মজার বিষয় ওই ক্লাসে একমাত্র জেটিচই ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি শ্মিট সায়েন্স ফেলোশিপ জেতেন মহাকাশ প্রযুক্তি সংক্রান্ত এক গবেষণার জন্য।

শ্মিট সায়েন্স ফেলো প্রকল্পের নির্বাহী প্রধান হলেন ড. মেগান হুইলার। মেগানের রয়েছে অক্সফোর্ড ও আমেরিকার ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট। তিনি বর্তমানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানবদেহের জিনবিষয়ক গবেষণায়রত আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের অনেক বিজ্ঞানী আছেন যাদের সত্যিকারের অভিজ্ঞতা ও চিন্তার গভীরতা রয়েছে। তারা চাইলে চিন্তার পরিধিও অতিক্রম করতে পারেন।দুনিয়া কাঁপানো পঞ্চম নারী জোহানা পোর্সতি। ফিনল্যান্ডের এই নারী হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করেন। এ ছাড়া কোপেনহেগেন থেকে এমবিএ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি নোভো নরডিস্ক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877