স্বদেশ ডেস্ক:
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু। প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মরছে। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন মহল যখন ব্যস্ত, তখনই মশা না মারার অনুরোধ জানিয়েছেন ফ্রান্সের আইমেরিক ক্যারন নামে এক প্রাণী অধিকার কর্মী। মশার কামড়কে রক্তদান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাদ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের মশা হত্যা করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন ওই প্রাণী অধিকার কর্মী। তার মতে, ‘রক্তদান’ হিসেবে মশাকে কামড় দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।
টেলিভিশনের এই উপস্থাপক ক্যারন বলেন, ‘পোকামাকড়গুলো তাদের ডিমের প্রোটিন যোগান দিতেই মানবদেহের রক্ত চুষে নেয়। যা পোকামাকড় বিরোধীদের জন্য বিব্রতকর ছিল। তবে মশা তাদের ভবিষ্যৎ বাচ্চাদের লালন-পালন করতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হচ্ছে।’
তাই প্রাণী প্রেমিকদের পোকামাকড়কে কামড়ের অনুমতি দেওয়া উচিত। তবে তা আফ্রিকা বাদে। যেখানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে বলেও জানান তিনি।
ক্যারন বলেন, ‘কেউ বিষয়টি এভাবে বিবেচনা করতে পারেন, মাঝে মাঝে একটি পোকামাকরের কামড় হচ্ছে রক্তদান। যে কেবল তার সন্তানকে পুষ্ট করার চেষ্টা করছে। এটি কোনো নাটক না।’পোকামাকড়গুলো তাদের ডিমের প্রোটিন যোগান দিতেই মানবদেহের রক্ত খায়।
তবে মশা হত্যা না করে, মশা তাড়ানোর বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায় তিনি বলেছেন। যেমন : সাইট্রোনেলা, ল্যাভেন্ডার তেল বা রসুন ব্যবহার করা যেতে পারে।
অবশ্য ব্রিটিশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার গ্রুপ-অ্যানিম্যাল ইক্যুয়ালিটির প্রধান টনি ভার্নেলি এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ‘এ ধরনের পরজীবী ম্যালেরিয়া বহন করে এবং বছরে কয়েক মিলিয়ন লোককে হত্যা করে।’
তিনি বলেন, ‘এটি বেশিরভাগ লোকের জন্য বিভ্রান্তিকর। প্রাণীদের দুর্ভোগ সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করতে এটি সাহায্যকর নয়। এ ছাড়া প্রাণী কল্যাণ অভিযানের সঙ্গেও এটি সম্পর্কিত নয়। ’