স্বদেশ ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা সবাই নিজেদের পদ-পদবি ও টাকাপয়সা নিয়ে ব্যস্ত। জুনিয়র নেতাকর্মীদের দিকেও নজর দিতে হবে, তাদের জন্য একটা ফান্ড ক্রিয়েট করতে হবে। দলের অনেক নেতাকর্মী আছেন যারা এরশাদের জাতীয় পার্টির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। রাজপথে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আজকে তারা নিঃস্ব, তাদের কিছুই নেই। তারা চোখের পানি ফেলছেন। নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ।
বিদিশা বলেন, কিছুদিন আগে আমার কাছে এলাকা থেকে তৃণমূলের এক নেতা এসেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন- ম্যাডাম আমার তিনটি মেয়ে। আমি জাতীয় পার্টির জন্য সব শেষ করেছি। গরু-বাছুর থেকে শুরু করে আমার জায়গা-জমি সব বিক্রি করেছি। আজকে আমার সন্তানদেরকে যে আমি বিয়ে দিবো সেই সামর্থ্য আমার নেই।
জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য ফান্ড গঠন করার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের জন্য একটা ফান্ড গঠন করতে হবে। দলের প্রাণ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিপদের সময় যেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই ফান্ড গঠন করতে হবে।
প্রয়োজনের সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদেরই দলের সবচেয়ে বেশি দরকার হয় উল্লেখ করে বিদিশা এরশাদ বলেন, দলের নেতৃবৃন্দ ডাক দিলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কোনো কিছু হিসাব-নিকাশ না করেই ছুটে আসে। সমস্ত বাধা বিপত্তি সবকিছু ভেদ করে তারা চলে আসে। তাই তৃণমূলেরই নেতাকর্মীদের দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
তৃণমূল নেতাকর্মীরাই জাতীয় পার্টির প্রাণ শক্তি বলে উল্লেখ করেন বিদিশা। নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা এরিকের জন্য দোয়া করবেন, এরশাদের জন্য দোয়া করবেন। আমি জাতীয় পার্টিতে থাকি বা না থাকি আমি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের পাশে আছি। আমি সারাজীবন দলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকবো।
সারাদেশের মানুষ বিশেষ করে রংপুরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিদিশা বলেন, রংপুরবাসী এরিকের বাবার (এরশাদ) জন্য যে সম্মানটা দেখিয়েছে সে জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই সম্মানের কথা আমরা কোনো দিন ভুলবো না। আনুষ্ঠানিকভাবে আমি এবং এরিক এরশাদ রংপুরের প্রতিনিধিত্ব করতে না পারলেও আমরা আপনাদের পাশে থাকবো। যেভাবেই পারি রংপুরবাসীর পাশে আমরা সব সময় থাকবো।