স্বদেশ ডেস্ক:
টাঙ্গাইলে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের সময় সংঙ্গবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের ৪ জন সদস্যকে আটক ও অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল র্যাব।
আটককৃতরা হলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দেওলা গ্রামের মজিদ খান এর ছেলে ওয়াসীম খান (৪৫), মৃত আঃ ছালাম মিয়ার ছেলে হাবিবুল কবির জনি (৪৮), মোঃ শাহজাহান ফারুকের ছেলে মেহেদী হাসান শিশির (৩০), কোদালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ জুয়েল (৩৫)।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাধীন কোদালিয়া গ্রামের রাস্তা থেকে শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ মশিউর রহমান খানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে মুরাদের বড় ভাই টাঙ্গাইল র্যাব অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ প্রাপ্তির পর ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাবের চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা ও বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে।
র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে, ভিকটিম ও অপহরণকারীরা টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাধীন কালেক্টরেট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ সংলগ্ন পশ্চিম পাশের জেলা সদর মাঠে অবস্থান করছে। অপহরণকারীরা ভিকটিমকে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে এবং ভিকটিমের পরিবারের সাথে মুক্তিপণের জন্য ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে মঙ্গলবার ভোরে র্যাবের আভিযানিক টিম টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাধীন কালেক্টরেট উচচ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজ সংলগ্ন পশ্চিম পাশের মাঠে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।
অপহৃত ব্যবসায়ী মুরাদ আভিযানিক দলকে জানায় যে, অপহরণ চক্রের ৭/৮ জন সদস্য অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে অনেক মারপিট করে এবং তার পরিবারের নিকট হতে মুক্তিপণের জন্য ২ লক্ষ টাকা মোবাইলে বিকাশ করার জন্য চাপ দেয়।