শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
‘‌বিবেকহীনরা আ.লীগ করে নাকি আ.লীগ করলে বিবেকহীন হয়?’

‘‌বিবেকহীনরা আ.লীগ করে নাকি আ.লীগ করলে বিবেকহীন হয়?’

‍স্বদেশ ডেস্ক:

বিবেকহীনরা আওয়ামী লীগ করে কি না তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘এখন নিজের মনে প্রশ্ন জাগে, বিবেকহীনরাই কি এখন আওয়ামী লীগ করে, নাকি আওয়ামী লীগ করার কারণেই মানুষ বিবেকহীন হয়ে যায়?’

আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন,‘বাংলাদেশের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) ‘‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি” এবং ‘‘ডেমোক্রেসি হিরো’’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছেন। তবে দেশনেত্রীর জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে এমন সম্মানে হাসান মাহমুদরা চরম আত্মপীড়ন ও মনোকষ্টে ভুগছেন।’

তিনি বলেন, ‘এ কারণে হাছান মাহমুদ (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী) বলেছেন, এই অ্যাওয়ার্ড নাকি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। কিনে পদক পাওয়ার সংস্কৃতি তো আওয়ামী লীগ নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর। পদক কিনে বস্তা ভরার ইতিহাস তো আপনাদেরই। ক্ষমতাসীন হলেই আপনাদের কাছে বানের স্রােতের মতো পদক আসে। আপনার বক্তব্যে প্রমাণ হলো-অতীতে আপনারাই পদক কিনেছেন। এখন নিজের মনে প্রশ্ন জাগে, বিবেকহীনরাই কি এখন আওয়ামী লীগ করে, নাকি আওয়ামী লীগ করার কারণেই মানুষ বিবেকহীন হয়ে যায়।’

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তির ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এই হাইভোল্টেজ আলাপনই এখন ‘টক অব দ্য ইউনিভার্স’। একজন হলেন- সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অপরজন হলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।’

বিএনপির এই নেতা বলেন,‘ফোনালাপে শুধু এই দুই ব্যক্তিই নয়, দুর্নীতিবাজ চক্রের সঙ্গে আরেক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার নামও এসেছে। এই তিন ব্যক্তিই কোনো নিয়ম নীতি না মেনেই প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিতে একাট্টা হয়েছেন।’

রিজভী বলেন, ‘বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার বিতর্কিত আড়িপাতা যন্ত্র কিনে বছরের পর বছর ধরে বিরোধী দল কিংবা ভিন্নমতের মানুষের ব্যক্তিগত ফোনালাপ রেকর্ড করে আসছে। এরপর নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে অবৈধভাবে রেকর্ড করা ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে তার ভিত্তিতে কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা মিডিয়া ট্রায়াল করে সরকার। এইবার নিজেদের পাতা ফাঁদে নিজেরাই ধরা পড়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন,‘আসলে রাষ্ট্র কে চালাচ্ছে, সেটি নিয়ে জনমনে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’ তিনি বলেন,‘উপদেষ্টা ও মন্ত্রীর ফোনালাপ দুর্নীতির সামান্য নমুনা মাত্র। তারা সংঘবদ্ধভাবে দুর্নীতি ও লুটপাট করে দেশটাকে ফোকলা করে দিয়েছে। দেশের জনগণ ঝড়-ঝঞ্জার রাতে উত্তাল অকুল পাথার সমুদ্রে কোথাও কোন লাইট হাউজের দেখা পাচ্ছে না।’

রিজভী বলেন, ‘দেশে এখন চলছে দুর্নীতিবাজদের প্রলয় উল্লাস। এইসব মাফিয়া এবং দুর্নীতিবাজরা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে থাকতে গণতন্ত্রের কথা শুনলেই এদের এখন গায়ে জ্বালা ধরে। এর প্রমাণ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877