স্বদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় সুনির্দিষ্টভাবে তৈরি করা বুস্টার ডোজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে ওষুধ উৎপাদনকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান মডার্না। স্থানীয় সময় বুধবার মডার্নার পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রাপ্তবয়স্ক ৬০০ জনের ওপর টিকার এই ডোজ পরীক্ষা করা হবে। তাদের মধ্যে অর্ধেক কমপক্ষে ছয় মাস আগে মডার্নার করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। বাকিরা দুই ডোজের পাশাপাশি সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া মডার্নার বুস্টার ডোজও নিয়েছেন।
পরীক্ষামূলক প্রয়োগে টিকাটি তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে কতটা কার্যকর তা খতিয়ে দেখা হবে। যদিও মডার্না বলছে, বাজারে এই মুহূর্তে প্রচলিত তাদের বুস্টার ডোজটিও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বেশ কাজে দিচ্ছে।
এদিকে, বুধবারই বিবিসির এক প্রতিবেদনে ওমিক্রন রোধে ফাইজারের নতুন টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরুর কথা জানানো হয়। ফাইজারের নতুন টিকার পরীক্ষা চালানো হবে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষের ওপরে। যারা এখনো করোনার টিকার কোনো ডোজ নেননি তাদের নতুন টিকার তিনটি ডোজ দেওয়া হবে।
অপরদিকে এর আগেই টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা পাবেন একটি বুস্টার ডোজ। আর ওমিক্রন রোধে টিকার নতুন সংস্করণ নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকাও।
মহামারির দুই বছরের করোনার অন্য যেকোনো ধরনের চেয়ে ওমিক্রন বেশি সংক্রামক বলে প্রমাণিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, গত এক সপ্তাহে দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনার সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, যা মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ।
সংস্থাটি আরও বলেছে, করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে বিশ্বে এখন ওমিক্রনই তার আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে। ডেল্টার সংক্রমণ কমে এসেছে। আলফা, বিটা ও গামার সংক্রমণ একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, যেসব দেশে ২০২১ সালের নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে গিয়েছিল সেসব দেশে এখন কমে এসেছে। বর্তমানে পাওয়া তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায়, ওমিক্রনের সার্বিক ঝুঁকি এখনো অনেক বেশি রয়ে গেছে।
সংস্থাটি আরও বলছে, গত ৩০ দিনে সংগৃহীত নমুনা- যা জিআইএসএআইডিতে আপলোড করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ। আর ডেল্টা ধরন ১০ দশমিক ৭ শতাংশ।