শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকার তৃতীয় হারে সিলেটের প্রথম জয়

ঢাকার তৃতীয় হারে সিলেটের প্রথম জয়

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকাকে হারিয়ে জয়ের দেখা পেল সিলেট সানরাইজার্স। ঢাকার দেওয়া ১০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে সিলেট। প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের দেখা পেল তারা। অন্যদিকে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ নিল ঢাকা।

আজ মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারের ৮ বল বাকি থাকতেই ১০০ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। জবাবে ১৮ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট। ব্যাট হাতে এনামুল হকের সর্বোচ্চ ৪৫ ও কলিন ইনগ্রামের অপরাজিত ২১ রানে বড় জয়ের দেখা পায় সিলেট।

ঢাকাকে একশোর মাঝে আটকে রাখতে সবচেয়ে বড় অবদান সিলেটের স্পিনার নাজমুল হোসেন অপুর। তার ক্যারিয়ার সেরা চার উইকেটে ভর করে ঢাকাকে ছোট পুঁজি করতে বাধ্য করে সিলেট। যদিও শুরুটা করেন সোহাগ গাজী ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

টস হেরে ব্যাট করতে এসে প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদের কাছ থেকে নয় রান আদায় করে নেয় ঢাকার দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহাজাদ ও তামিম ইকবাল। পরের ওভারে টানা তিন বলে সোহাগ গাজীকে খেলতে না পেরে বাধ্য হয়ে সামনে এগিয়ে মারতে যান শাহাজাদ। কিন্তু বল তার ব্যাটে না লেগে সরাসরি কিপারের হাতে গেলে স্ট্যাম্পড হয়ে মাঠ ছাড়েন এই আফগান ব্যাটার (৫)। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ফেরেন ব্যক্তিগত ৩ রানে। যদিও মোসাদ্দেকের বলে তার লেগ বিফোর নিয়ে মাঠেই অসন্তোষ জানান এই ব্যাটার।

তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ধীর গতির ব্যাট করেন নাঈম শেখ ও জহিরুল ইসলাম। কিন্তু এই জুটি বেশিদূর এগোয়নি। দলীয় ১৭ রানের মাথায় সোহাগ গাজীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৫ রান করে ফেরেন জহিরুল। টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট মেজাজে ব্যাট করে দলকে কিছুই দিতে পারেননি নাঈম। ৩০ বল মোকাবেলায় কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই করেন মাত্র ১৫ রান। নাজমুল হোসেন অপুর প্রথম শিকার হন তিনি।

ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৬ বলে ৩৩ রান করে অপুর শিকার হন এই ব্যাটার। এরপর একে এক আন্দ্রে রাসেল, শুভাগত হোমকেও ফেরান অপু। যদিও রাসেলের গেল বিফোর নিয়েও মাঠেই অসন্তোষের দেখা মিলেছে। উপরের দিকে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর শেষ দিকে টানা তিন উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। যদিও ৬ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে ঢাকাকে ১০০ রানের সম্মান এনে দেন রুবেল হোসেন।

ছোট লক্ষ্য পেয়ে দেখেশোনে ব্যাট করে সিলেট। বরাবরের ন্যায় দিনের প্রথম ম্যাচের ধীর উইকেটে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার লেন্ডন সিমন্স ও এনামুল হক বিজয়। যদিও ২১ রানের মাথায় সিমন্সকে (১৭) সাজঘরে ফিরিয়ে ঢাকাকে প্রথম উইকেটের স্বাদ দেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে এনামুলের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১৫ বলে ১৭ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান হাসান মুরাদ। চারে এসে এনামুলকে যোগ্য সঙ্গ দেন কলিন ইনগ্রাম। তাদের জুটিতে জয়ের ধারে পৌঁছে যায় সিলেট। তবে জয়ের মুখে থাকতেই ৪৫ রান করা এনামুলকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মাশরাফী। এরপর অবশ্য ইনগ্রামের ২১ রানে ভর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেটই আসে মাশরাফীর হাত ধরে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877