স্বদেশ ডেস্ক:
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন। আগামীকাল বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এর মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে-বাইরে চলছে প্রার্থীদের ফরম পূরণ। একেকটি ফরম পূরণে প্রার্থীপ্রতি দিতে হচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা।
এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের পিয়ন তফাজ্জলও বাদ যাননি। তিনি প্রতি প্রার্থীর ফরম পূরণে হাতিয়ে নিচ্ছেন তিন হাজার টাকা। এক প্রার্থী টাকা কম দেওয়ায় দর-কষাকষি করে শেষমেশ নির্ধারিত তিন হাজার টাকা নেন। টাকা কম দিতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ফুটপাতের লোক না, হইন্নি না (ফকিন্নি)। অনার্স-মাস্টার্স পাস কইর্যা এইহানে আইছি, টেহা কম নেঅনের লাইগ্যা না।’
তার এ কথার একটি ভিডিও আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিতে দেখা যায়, নির্বাচন অফিসের ভেতরে একটি কক্ষে বসে আগত প্রার্থীদের ফরম পূরণ করে দিচ্ছেন পিয়ন তফাজ্জল হোসেন। প্রতিটি ফরম পূরণে নিচ্ছেন দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে। কেউ কম দিতে চাইলে ফরম রেখে দিচ্ছেন। তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। টাকা না পেলে ফরম পূরণ করছেন না তিনি।
তফাজ্জল হোসেনের বাড়ি পাশের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই অফিসে প্রায় চার বছর ধরে কাজ করে আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেবা নিতে আসা একাধিক প্রার্থিতাপ্রত্যাশী জানান, তফাজ্জল সাধারণ লোকদের প্রায় সময়ই টাকার জন্য হয়রানি করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ ধরনের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। তার কারণে সেবাগ্রহীতারা সেবা পান না বলে জানান তারা।
অভিযোগের বিষয়টি জানতে তফাজ্জলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘আমিও ভিডিওটি দেখেছি। এ ঘটনায় তফাজ্জলকে শোকজ করা হয়েছে।’