স্বদেশ ডেস্ক:
জেনারেল কাশেম সুলেইমানিকে হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। আজ ৩ জানুয়ারি সুলেইমানি হত্যার দুই বছর পূর্ণ হলো। দুই বছর আগে এ দিনে এই শীর্ষ জেনারেলকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ড্রোন হামলায় হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতি লেখা এক চিঠিতে সুলেইমানি হত্যার বিচার দাবি করেছে তেহরান। ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকে সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারগুলো বছরের পর বছর ধরে নিজেদের ‘একতরফাবাদ’ প্রদর্শন করছে যা তাদের আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির লঙ্ঘনের সুযোগ করে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুলেইমানি হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় ট্রাম্প সুলেইমানিকে বিশে^র শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ওই হামলায় ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘ সুলেইমানি হত্যাকা-কে ‘বেআইন’ ও ‘ইচ্ছামাফিক’ কর্মকা- হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। একই সঙ্গে এটি জাতিসংঘের নীতিবিরুদ্ধও বলে বর্ণনা করা হয়েছি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে।
এদিকে গত বছর ইরানের তরফ থেকে ইন্টারপোলের কাছে ট্রাম্পসহ মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘লাল নোটিশ’ জারি করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। এ ছাড়া ইরাকের একটি আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সুলেইমানি হত্যার ঘটনা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দুই বছর আগে এই হত্যাকা-ের কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। ২০২০ সালে এই হত্যাকা-ের প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে প্রায় শ’খানেক মার্কিন সেনার মস্তিস্কে আঘাতপ্রাপ্ত হন।