শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

বাড়তে পারে গ্যাস সংকট

বাড়তে পারে গ্যাস সংকট

স্বদেশ ডেস্ক:

সামিট গ্রুপের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের ভাসমান টার্মিনাল ও পুনঃগ্যাসে রূপান্তরকরণ ইউনিটের (এফএসআরইউ) মুরিং লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে। ফলে এই ইউনিটটি আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ করতে পারবে না।

পেট্রোবাংলার একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর সেখানে ত্রুটি ধরা পড়ে। এ কারণে টার্মিনালটিতে কার্গো ভিড়তে পারছে না। মেরামত না করা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে ভাড়াভিত্তিক এই এফএসআরইউ ইউনিটে। এটি দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। দেশীয় গ্যাসের সংকট সামাল দিতে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করতে ২টি এফএসআরইউ ভাড়া করা হয়। ২টি ইউনিট সচল ছিল। দুটি ইউনিট দিয়ে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহের রেকর্ড রয়েছে।

এমনিতেই গ্যাস সংকটে নাকাল অবস্থা। এ কারণে বিকাল ৫টা থাকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে। এফএসআরইউ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংকট আরও বাড়তে পারে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এলএনজি সরবরাহকারী জাহাজের মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় এলএনজি সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই ত্রুটি সারতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এতে করে ওই সময় পর্যন্ত সারাদেশে গ্যাস ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মুরিং হলো এমন স্থায়ী কাঠামো, যেখানে কোনো জাহাজ বাঁধা অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে। এই লাইন ছিঁড়ে গেলে জাহাজ থেকে জাহাজে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হয়। তবে মন্ত্রণালয় থেকে বলছে, আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এই ত্রুটি মেরামত বা পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এদিকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ গ্যাস সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

এখন দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। পেট্রোবাংলা প্রতিদিন ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এর মধ্যে ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট আমাদানি করা গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বাকিটা দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদন হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877