বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন

গৃহবধূর পচাগলা মরদেহ ‘আগলে’ ছিল স্বামী-ছেলে

গৃহবধূর পচাগলা মরদেহ ‘আগলে’ ছিল স্বামী-ছেলে

স্বদেশ ডেস্ক:

বিছানায় পড়েছিল গৃহবধূর পচাগলা মরদেহ। পাশেই বসেছিল স্বামী ও ছেলে। একপর্যায়ে মরদেহের তীব্র গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। গতকাল বুধবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অশোকনগর থানার সুভাষপল্লি এলাকায়। গৃহবধূর নাম মালা দত্ত।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অশোকনগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকার বাসিন্দা কল্যাণ দত্ত। তিনি পাইপ লাইনের কাজ করেন। তার স্ত্রী মালা দত্ত দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ু রোগে ভুগছিলেন। দুজনের ১৮ বছরের ছেলেও রয়েছে। নাম অর্ঘ্য। তারও শারীরিক সমস্যা রয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে পর থেকেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। তখন বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও বুধবার সকাল থেকে গন্ধের তীব্রতা বেড়ে গেলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এরপর স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। যখন পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে তখন বাড়িতে স্বামী এবং ছেলে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, মৃতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূর স্বামী এবং ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ। কী কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলেই জানা যাবে।

গৃহবধূর ভাই মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গত শুক্রবার দিদিকে দেখতে এসেছিলাম। দিদি বলেছিল, ডাক্তার দেখাচ্ছে না। ওষুধ এনে দিচ্ছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি চিকিৎসার টাকা দিয়ে আসি।’

মানস বাবুর অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় দিদিকে মেরে ফেলা হয়েছে। বাড়িতে মৃতদেহ পচতে শুরু করলেও ওরা কীভাবে চুপচাপ ছিল। আমরা খুনের অভিযোগ দায়ের করব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877