স্বদেশ ডেস্ক:
কক্সবাজারে আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যামামলায় সপ্তম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন ছিল গতকাল বুধবার। তবে এদিন মামলার অন্যতম সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়নি। এর আগের দিন মঙ্গলবারও সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এই কর্মকর্তা। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আগামী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। আদালতের
কার্যক্রম শেষে বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সিনহা হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমে এই প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল ওসি প্রদীপকে খুবই বিমর্ষ দেখা যায়। আদালতের একটি সূত্রমতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা চলাকালেও ওসি প্রদীপ সারাক্ষণ বিমর্ষ ছিলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, মেজর সিনহা হত্যামামলার ৭ দফার সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ অসমাপ্ত থেকে যায়। এ কারণে আদালত পরবর্তী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন। সপ্তম দফায় তিন দিন ধরে চলা সাক্ষ্যগ্রহণের দুদিনই এএসপি খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এর আগের দিন অপর গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিলুল হকের জেরা সম্পন্ন করা হয়। উক্ত মামলায় এ পর্যন্ত ৬৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত জানান, এ মামলার দুই তদন্তকারী কর্মকর্তার মধ্যে প্রথমজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। অপরজনের জবানবন্দি শেষ হলেও জেরা চলমান রয়েছে। তার জেরা শেষ হলে ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বিচার কার্যে যাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।