রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ভুয়া চাকরির সাক্ষাৎকারেও ৫০০ টাকা ভিজিট নেন মুন্নি

ভুয়া চাকরির সাক্ষাৎকারেও ৫০০ টাকা ভিজিট নেন মুন্নি

স্বদেশ ডেস্ক:

বিভিন্ন বাসাবাড়িতে নিরাপত্তাকর্মী, বডিগার্ডসহ বিভিন্ন পদে চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী কেউ যোগাযোগ করলে তাকে সাক্ষাৎ করতে বলা হতো। তবে বিনেপয়সায় নয়; সাক্ষাতে ফরম পূরণের নামে প্রার্থীর কাছ থেকে আদায় করা হতো ৫০০ টাকা। কিছুদিন পর কথিত চাকরিতে যোগদানপত্র দেওয়ার নামে আরও ৫-৬ হাজার টাকা আদায় করা হতো চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে। এই প্রক্রিয়ায় ছয় মাসে এক হাজার ২৩৯ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এ পর্যন্ত একজনকেও কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিতে পারেননি সালমা আক্তার মুন্নির চক্র। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

গতকাল বুধবার ভোরে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় কিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের অফিস থেকে প্রতারক চক্রের হোতা মোসা. সালমা আক্তার মুন্নিকে (২১) আটক করেছে র‌্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি সিপিইউ, ২টি মোবাইল ফোন, ভুয়া নিয়োগপত্র, ২০টি ভিজিটিং কার্ড এবং ৮ পাতা চাকরির বিজ্ঞাপনের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়। গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব ১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

তিনি বলেন, সালমা আক্তার একটি সংঘবদ্ধ এমএলএম প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। চক্রটি ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এনএএইচ সিকিউরিটিজ নামে কথিত ওই কোম্পানি তাদের অফিস থেকে চাকরিপ্রার্থীদের ফোন দিয়ে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আসতে বলা হয়। প্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ের জন্য অফিসে আসার পর তাদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। পরে চাকরিতে যোগদানের আগে পদ অনুসারে ৫-৬ হাজার টাকা জামানত বাবদ আদায় করা হতো। পরে কেউ ওই কোম্পানিতে যোগদান করলে তাদের নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হতো প্রতি মাসে অন্তত ১০ জন নতুন চাকরি প্রার্থী সংগ্রহ করতে হবে। নতুন প্রার্থী সংগ্রহের ভিত্তিতে তাদের বেতন দেওয়া হবে মর্মে আশ্বাস দেওয়া হতো।

অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, সালমা গত ৬ মাসে প্রায় ১ হাজার ২৩৯ চাকরিপ্রার্থীকে তাদের কোম্পানির নিয়োগ ফরম পূরণের নামে ১১ লাখ ২৬ হাজার ২শ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু গত ৬ মাসে তারা কোনো সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ দিয়েছে মর্মে কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে পারেনি। সালমা আক্তার মুন্নির শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সঠিক প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। তবে তিনি এইচএসসি পাস বলে জানিয়েছেন। হাবিবুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে ২০২০ সালের শুরু থেকে এই প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণা শুরু করেন। সালমার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হাবিবকে আটকের জন্য একটি অফিসে অভিযান পরিচালনা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযান অব্যাহত আছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877