স্বদেশ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে প্রায় দুই বছর ধরে লড়তে লড়তে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য খাত। আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার পেরিয়েছে। যাদের মধ্যে মারা গেছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। তারপরও করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের সৃষ্টি হওয়ায় শঙ্কা রয়েছে বিশ্বজুড়ে মহামারীর নতুন তরঙ্গ আঘাত হানার। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী এক বছরের জন্য করোনা নিয়ন্ত্রণে আরও দুই হাজার ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রয়োজনীয় এই তহবিল সংগ্রহে এখনই ধনী ও দাতা দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচপ্রধান ডা. টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়েসুস।
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও এই তহবিলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানায়। সংস্থাটি এমন একসময়ে এই তহবিলের কথা জানাল যখন আজ শনিবার থেকে ইতালির রোমে শুরু হচ্ছে বিশ্বের কুড়িটি ধনী দেশের জোট জি ২০-এর সম্মেলন। ইতোমধ্যে এই সম্মেলনে যোগ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ জি-২০ভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান রোমে পৌঁছেছেন।
বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, আগামী এক বছরের জন্য যে অর্থ চাওয়া হয়েছে তা বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা প্রদান, পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসা ব্যয় নিশ্চিত করতে কাজে লাগবে। একই সঙ্গে এই অর্থ মহামারীর রাস টানতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীর উন্নয়ন,
উৎপাদন, ক্রয় এবং বণ্টনে ব্যয় হবে। তবে গত দেড় বছরের বেশি সময়ে করোনা মহামারীর কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে, তার তুলনায় এই পরিমাণ অর্থ খুবই নগণ্য। কিন্তু এই অর্থ পাওয়া গেলে তা বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।
ডা. গেব্রিয়েসুস বলেন, প্রয়োজনীয় এই অর্থ পেলে আগামী এক বছরে হয়তো ৫০ লাখ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে। এমন তহবিল প্রদানে জি-২০ দেশগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা রয়েছে। আমরা এমন একটি চূড়ান্ত মুহূর্তের মধ্যে রয়েছি, এ সময় বিশ্বকে নিরাপদ করার জন্য সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্বের প্রয়োজন। খবর এনডিটিভির।