শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ন

নিষেধাজ্ঞা শেষের পথে এখনো চাল পাননি জেলেরা

নিষেধাজ্ঞা শেষের পথে এখনো চাল পাননি জেলেরা

স্বদেশ ডেস্ক:

ইলিশের প্রজননের জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষের পথে। ২০ দিন পার হলেও ত্রাণের চাল পাননি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের জেলেরা। অথচ শুরুর দিকেই এই চাল দেয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলেরা।

উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটির তালিকাভূক্ত প্রায় দেড় হাজার জেলে পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ২৭৩ জন জেলে পরিবারকে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাকি ইউনিয়নগুলোর জেলেরা এখনো চাল পায়নি।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় দুই হাজার ১৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৬২৮ জন জেলে ত্রাণের চাল পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মাধবখালী ইউনিয়নে তালিকাভূক্ত জেলে রয়েছেন ১৭৭ জন, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে পাঁচ শ’ জন, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে ৫৮ জন, দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে ২৭৩ জন, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নে ২৬৮ জন, মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩৫২ জন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে তালিকাভূক্ত প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তানজিমুল ইসলাম বলেন, সরকার মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা নিধন বন্ধের জন্য গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ নিশেধাজ্ঞা চলাকালীন তালিকাভুক্ত জেলে পরিবারকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে সকল জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের জন্য বলা হয়েছে। একটি ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নে ও দ্রুত চাল বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাগঞ্জের ছয়টি ইউপিতে আগামী ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। এতে উপজেলার ছয়জন চেয়ারম্যানই দলীয় নৌকা প্রতীক পেতে ব্যস্ত রয়েছেন। দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র জমা প্রদান শেষে প্রতিক বরাদ্ধ হয়েছে এবং সবাই ঢাকায় অবস্থান করছেন। এজন্য সময় মত জেলেদের চাল দিতে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানা যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলেদের ত্রাণের চাল দেয়ার জন্য ডিও ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানরা যে কোনো সময় চাল নিয়ে জেলেদের মাঝে বিতরণ করতে পারেন।

কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলেদের তালিকা না পাওয়ায় চাল দিতে বিলম্ব হয়েছে। তালিকা জমা দিলে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে চাল দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল বিতরণ করার কথা। দুই দিনের মধ্যে বাকি সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এই চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ করবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877