স্বদেশ ডেস্ক:
কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, তিনিই দলের পূর্ণকালীন সভাপ্রধান। শনিবার কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।
২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পর থেকে দলের অন্তর্বর্তী সভানেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সোনিয়া গান্ধী। গতকালের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আগামী সভাপ্রধান নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের শুরুতে নিজের ভাষণে সোনিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনে রাজি। মূলত দলের ‘জি ২৩’ গ্রুপের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সোনিয়া বলেন, ‘আমিই দলের ফুলটাইম সভাপতি। কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য আত্মনিযন্ত্রণ, শৃঙ্খলা, ঐক্য এবং দলের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’ কপিল সিবল, গোলাম নবী আজাদের মতো নেতারা সভাপতি হিসেবে স্থায়ী কাউকে চেয়ে বারবার দাবি জানাচ্ছিলেন। মুখ খুলছিলেন সংবাদমাধ্যমের সামনেও। এত দিন এটা নিয়ে একটি কথাও বলেননি সোনিয়া। কিন্তু গতকাল বৈঠকে সেই বিক্ষুব্ধ নেতাদের উদ্দেশে সোনিয়া বলেন, ‘আপনারা যদি অনুমতি দেন, তা হলে আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেতা হতে পারি। আমি বরাবরই খোলামেলা পরিবেশে বিশ্বাস রেখে এসেছি। তাই সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার কী প্রয়োজন?’
সোনিয়া বলেন, ‘দল আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি।’ কিন্তু তিনি এটাও জোর দিয়ে বলেন, ‘যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও এককভাবে দলের স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করি, তা হলে আমি নিশ্চিত যে আমরা ভালো করব। আমি এ বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন যে আমি অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভাপ্রধান।’
প্রায় দেড় দশক কংগ্রেসের সভানেতা ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তার পর ২০১৭ সালে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া রাহুল গান্ধীর হাতে। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী।