স্বদেশ ডেস্ক:
দেশের সব মানুষের জন্য করোনার প্রতিষেধক টিকা নিশ্চিত করতে যতই টাকা লাগুক না কেন, সরকার তা ব্যয় করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় টিকা দিলেও সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা দিলেও করোনার সংক্রমণ হতে পারে। সেজন্য সবাইকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
আজ রোববার মোট ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া বর্তমান সরকারের লক্ষ্য, এমনটা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আগেরবার সরকারে এসে যে কয়টা ভালো কাজ করেছিলাম তার সবগুলোর জন্য মামলা খেয়েছিলাম। কিন্তু তবুও থেমে থাকিনি।’
এ সময় দেশবাসীকে বিদ্যুৎ খরচের বিষয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের অনেক খরচ হয়। কিন্তু আমরা সবাইকে কম মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি।’
‘২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে আমরা কাজ করছি। আগামী ২১০০ সালের ডেলটা প্ল্যান করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় দেশকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দিতে পারে, এমন কেউ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে উন্নয়ন কাজের যথেষ্ট ক্ষতি হলেও বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলছে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আজ উদ্বোধন করা বিদ্যুৎকেন্দ্র পাঁচটি হচ্ছে-হবিগঞ্জের জুলদায় বিবিয়ানা-৩ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২, নারায়ণগঞ্জে মেঘনা ঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট, বাগেরহাটে মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ।