সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:০২ অপরাহ্ন

আপত্তিকর অবস্থায় ধরা, ৩০ বছরের নাতির সঙ্গে ৫৫ বছরের দাদির বিয়ে

আপত্তিকর অবস্থায় ধরা, ৩০ বছরের নাতির সঙ্গে ৫৫ বছরের দাদির বিয়ে

স্বদেশ ডেস্ক:

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর ৩০ বছর বয়সী এক তরুণের সঙ্গে ৫৫ বছর বয়সী এক নারীর বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারা সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদি-নাতি। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নে এই বিয়ে হয়। এতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়হিত ইউনিয়নের বিয়ের রেজিস্ট্রি কাজে নিয়োজিত কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নওপাড়া গ্রামে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করা হয়েছিল। বিয়ে পড়াতে গিয়ে জানা যায়, নতুন দম্পতি সম্পর্কে প্রতিবেশী দাদি-নাতি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই দাদির স্বামী ৫ বছর আগে মারা গেছেন। তিনি আলাদা ঘরে একাই বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তার প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা পড়েন দাদি। পরদিন শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা সালিশে বসে নাতির সঙ্গে দাদির বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। বিয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই নাতি পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা দাদিকে নাতির বাড়িতে তুলে দিয়ে আসেন।

এদিকে, একদিন পালিয়ে থাকার পর গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বাড়ি ফিরেন নাতি। ওইদিন আবারও স্থানীয়রা সালিশে বসে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করেন স্থানীয় মুরুব্বিরা। সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে নতুন দম্পতিকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তরুণের পরিবারের অভিযোগ, এলাকার ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে জোর করে এই বিয়ে দেন। এই বিয়েতে ওই নারী রাজি ছিলেন না।

এ বিষয়ে ওই তরুণের বাবা বলেন, ‌‘ঘটনার পর তিনটা সালিশ হয়েছে। সালিশে মাতব্বরদের পা পর্যন্ত ধরেছি। তারপরেও আমার অবিবাহিত ছেলেকে ৫৫ বছর বয়সী ওই নারীর সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে দিয়েছে।’

তরুণের মা বলেন, ‘সালিশে আমি প্রত্যেকটা মানুষের পায়ে ধরে মাফ চাইছি। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি। ওই নারীও আমার ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না, তারপরেও জোর করে বিয়ে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

এদিকে, ওই তরুণের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য খাইরুল মিয়াকে মঙ্গলবার সকালে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি তার জানা নেই।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, ‘অনৈতিক সম্পর্কের কারণে ধরা পড়ে দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি। ’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877