স্বদেশ ডেস্ক:
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পুলিশ সদস্য রানা মিয়ার (২৭) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন বিয়ের দাবিতে ফাঁসির দড়ি নিয়ে অনশনে থাকা সেই কলেজছাত্রী। গতকাল মঙ্গলবার গৌরীপুর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযুক্ত মো. রানা মিয়া উপজেলার খালিজুরী গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে নরসিংদীর পলাশ থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অপরদিকে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাড়ি একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রামে।
ওই কলেজছাত্রী জানান, পুলিশ কনস্টেবল রানা বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে বাড়ির সামনে দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে স্থানীয় লোকজন। এ নিয়ে ওই রাতে সালিশ চলাকালে রানা কৌশলে পালিয়ে যায়। এর পরদিন বিকেল থেকে ফাঁসির দড়ি সঙ্গে নিয়ে রানার ঘরে অবস্থান করলেও সম্পর্ক মেনে নেয়নি তার পরিবারের লোকজন। রানা যদি তাকে বিয়ে না করে তাহলে আত্মহত্যা করবেন বলে মন্তব্য করেন ওই ছাত্রী।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা জানান, তার মেয়ে রানার বাড়িতে দুদিন অবস্থান করলেও সম্পর্ক মেনে নেয়নি তার পরিবারের লোকজন। আর রানাও আত্মগোপনে রয়েছে।
বিয়ের প্রলোভনে মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় রানার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা। এ ঘটনায় মন্তব্য জানতে রানার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, আদালতে জবানবন্দি ও ফরেনসিক পরীক্ষার পর ভিকটিমকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেই রানাকে গ্রেপ্তার করা হবে।