স্বদেশ ডেস্ক:
চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির আরও ৫৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫০টি টিকা দেশে পৌঁছেছে। চুক্তির পর এটাই চীনের কাছ থেকে বড় টিকার চালান পাওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশের।
সোমবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকাগুলো বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণ করে। এই টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, ৫৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫০ টিকা গ্রহণ করেছি। এয়ারপোর্ট থেকে ফ্রিজার ভ্যানে করে বেক্সিমকোর গাজীপুরের ওয়্যার হাউজে রাখা হবে। এই টিকা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে। ওখান থেকে বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনায় জেলা-উপজেলার টিকা বণ্টন করা হবে।
এর আগে ৩০ আগস্ট দুপুরে চীনের টিকা আসছে না বলে জানালেও সন্ধ্যার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন,সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে চীনের টিকা দেশে আসছে। এছাড়া আগামীকাল বুধবার বিকেল পাঁচটায় গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ফাইজারের আরও ১০ লাখ ৬ হাজার টিকা দেশে আসবে বলেও জানান তিনি।
কেনার পাশাপাশি চীন থেকে উপহার ও কোভ্যাক্সের মাধ্যমেও ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ। নতুন করে ২০ লাখ আসায় বিভিন্ন মাধ্যমে এখন পর্যন্ত টিকা পাওয়ার পরিমাণ ৩ কোটি ৮০ লাখ ৩১ হাজার ৬০৭ ডোজে পৌঁছেছে।
দেশে গণ টিকা দেওয়া শুরু হয় সেরামের টিকা দিয়ে। এই টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তিন কোটি টিকার চুক্তি করেছে সরকার। তবে ৭০ লাখ টিকা দিয়ে সংকটের কারণে ৭০ লাখ টিকা দিয়ে আর টিকা দিতে পারিনি এই টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মডার্নার ৫৫ লাখ, ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং জাপান থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮৭ ডোজ টিকা এসেছে।