স্বদেশ ডেস্ক:
বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলামের বদলির আদেশ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছিল। গত ১৮ আগস্ট রাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘাতের আগেই সেই আদেশ এসেছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সূত্র বলেছে, এটি একটি স্বাভাবিক বদলি প্রক্রিয়া।
ইউএনও’র বদলির বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসীম উদ্দীন হায়দার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ১০ আগস্ট ইউএনও মুনিবর রহমানের বদলির আদেশ হয়েছে। কিন্তু সদর উপজেলার এসিল্যান্ড করোনায় আক্রান্ত থাকায় মুনিবর রহমানকে দায়িত্ব চালিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এসিল্যান্ড সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিলেই ইউএনও তার কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাবেন। কাজেই ইউএনও’র বদলি স্বাভাবিক এবং শিগগির তা কার্যকর হবে বলেও জানান বরিশাল জেলা প্রশাসক।
এদিকে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলামকে সিলেট রেঞ্জে বদলি করা হয়। গত ১৮ আগস্ট সকালে নুরুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি যেকোনো সময় বরিশাল ছাড়তে পারেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তার বদলি হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট রাতে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইউএনও কমপ্লেক্সের নিরাপত্তাকর্মী আনসারদের গুলিবর্ষণ ও পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় ১৯ আগস্ট এ ব্যাপারে ইউএনও ও পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ১২২ জনের নামে ও পাঁচ শতাধিক অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
এর তিনদিন পর আদালতে ইউএনও, দুই পুলিশ ও পাঁচ আনসারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ জনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তার পক্ষ থেকে পাল্টা নালিশি মামলা করা হয়। আদালত এ দরখাস্ত গ্রহণ করে তদন্তের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার আদশ দেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
এ বিষয়ে গত ২২ আগস্ট রাতে মেয়র, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে সমঝোতা বৈঠক হয়। ঘটনাটিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দেয় বিসিসি। গত ২৩ আগস্ট আটক সরকারি দলের ২২ নেতাকর্মীকে জামিন দেননি আদালত।