স্বদেশ ডেস্ক;
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণবার ডাকাতির ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার দুই সাক্ষী মঈনুল হোসেন ও আমজাদ হোসেন তুহিন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের এ দুই গাড়িচালকের জবানবন্দি নেন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত। তারা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম ও কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক গোলাম জিলানী।
পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম জানান, দুই গাড়িচালক স্থানীয়। তাদের গাড়ি রিক্যুইজিশন করা ছিল। সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তারা। গাড়িচালকরা জানান, সেদিন স্বর্ণবার ডাকাতি শেষে ডিবি পুলিশের ওসি সাইফুলের গাড়িতে করে এসআই মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এস্কট দিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর সীমানা পার করে দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম আরও জানান, আসামিদের নিয়ে ঘটনাস্থল ও ফেনীর সেই সীমানা পরিদর্শন করেছে পিবিআই। সীমানা এলাকাটি হচ্ছে- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর খাইয়ারা এলাকার সাতবাড়িয়া।
এদিকে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় দফা তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- এসআই মোতাহের হোসেন, মিজানুর রহমান ও নুরুল হক এবং এএসআই অভিজিত বড়ুয়া ও মাসুদ রানা। ডিবির ওসি সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া এখনো
রিমান্ডে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম থেকে গত ৮ আগস্ট বিকালে ঢাকায় যাচ্ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছলে ডিবির ওই সদস্যরা তার গাড়ি রোধ করেন। ওই সময় অস্ত্রের মুখে তার কাছে থাকা ২০টি স্বর্ণবার তারা নিয়ে যান বলে অভিযোগ। পরে তদন্ত করে সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশের চার কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী আটক করা হয় আরও দুজনকে। সেই সঙ্গে ডিবির ওসি সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫টি স্বর্ণের বার। এর পর গত ১০ আগস্ট রাতে গোপাল কান্তি দাস ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশের ছয় কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এদিকে অভিযুক্ত ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) খোন্দকার নুরুন্নবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।