স্বদেশ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে সুরক্ষা অ্যাপে আগেই সেরে ফেলেছেন রেজিস্ট্রেশন। এরপর অপেক্ষা কখন আসবে এসএমএস, কখন দেওয়া যাবে টিকা। সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা অনেকেরই এখন এমন এসএমএসের অপেক্ষায় দিন কাটছে। কেউ ৩০ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন, কেউবা তারও বেশি। এরপরও মোবাইল নম্বরে পৌঁছেনি সেই কাক্সিক্ষত এসএমএস। হতাশ হয়ে তাই অনেকে ছুটে যাচ্ছেন টিকাকেন্দ্রে, কিন্তু এসএমএস না থাকায় ঢুকতে পারছেন না। সারাদেশের পরিস্থিতি এ রকমই।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামীমা খাতুন। টিকার নেওয়ার জন্য গত ২০ জুলাই তিনি সিটি করপোরেশন পরিচালিত মগবাজার নগর মাতৃসদনে নিবন্ধন করেন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য কাক্সিক্ষত এসএমএস পাননি। হতাশ হয়ে তিনি গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, নিবন্ধন করার প্রায় এক মাস পরও টিকা নিতে পারছি না। সরকারের টিকা প্রদানের গতি ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করা দরকার।
একইভাবে মনজুরুল আলম মজুমদার জুলাই মাসের ১০ তারিখ টিকার নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। কিন্তু প্রায় এক মাসেও এসএমএস পাননি। আবার ৫০ বছরের খলিলুর রহমান টিকা নেওয়ার জন্য মিরপুর ১নং নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে নিবন্ধন করেন গত ১৭ জুলাই। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তিনি এসএমএস পাননি। এ বিষয়ে আমাদের সময়ের পক্ষ থেকে মিরপুর ১নং নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, প্রতিদিন টিকা বরাদ্দের বিপরীতে রেজিস্ট্রেশন অনেক বেশি হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ১০ এবং ১১ জুলাই যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের টিকার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে বর্তমানে বিপর্যস্ত দেশ। রোগীর চাপে হাসপাতালে জায়গা নেই। প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। আইসিইউ সংকট তীব্র। এমন অবস্থায় জীবন বাঁচাতে টিকা গ্রহণে উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন সবাই। গত শনিবার থেকে দেশে শুরু হওয়া গণটিকা কার্যক্রমে বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড় যেন সে কথাই জানান দেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নেওয়া ছাড়া করোনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব নয়। এ কারণে টিকায় আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছে মানুষ।
এদিকে এসএমএস না পেলে টিকাদান কেন্দ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। গতকাল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে তিনি বলেন, ক্ষুদে বার্তা না পেয়ে অনেকেই টিকাদান কেন্দ্রে ভিড় করছেন। অনেক কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।