স্বদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারতের নিজস্ব উদ্ভাবিত টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বেশকিছুদিন আগেই কোভ্যাক্সিন টিকা দেশে ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং যুক্তির ওপর ভিত্তি করে আমরা এ অনুমোদন দিয়েছি। এই টিকার ট্রায়ালে আর কোনো বাধা নেই।’
এই টিকার ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির কাছে কয়েক মাস আাগে অনুমতি চেয়েছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ। আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানি কে জামান এ ট্রায়ালের প্রধান গবেষক। তবে কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে, সেই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘গত মাসে এ ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। থার্ড ফেজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। থার্ড ফেজ হলো ইতোমধ্যেই এ টিকা মানবদেহে সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সংখ্যা যত বেশি বাড়ানো যায় তত প্রতিষ্ঠানের সুনাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়ে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের ওপর দেশে যে কোনো ধরনের প্রতিষেধকের ট্রায়ালের অনুমোদনের কর্তৃপক্ষ হলো বিএমআরসি। প্রতিষ্ঠানটি আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাগজপত্র জমা দিয়েছে, যার পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়।’
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএমআরসি চূড়ান্ত অনুমতি দিয়েছে। এখন টিকা কী প্রক্রিয়ায় আনা হবে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য কত ভলান্টিয়ার নিয়োগ দেওয়া হবে ইত্যাদি প্রস্তুতি সাপেক্ষে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে নথিপত্র উপস্থাপন করবে। অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাবে।’
করোনা মোকাবিলায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ও উদ্যোগে তৈরি প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র টিকা কোভ্যাক্সিন। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যভিত্তিক ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক এ টিকার উদ্ভাবক। ২৪ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন ছাড়াও এ পর্যন্ত ১৬টি টিকা প্রস্তুত করেছে এবং ১২৩টি দেশে সেসব টিকা রপ্তানি হয়। চলতি বছর ৩ জানুয়ারি জরুরি প্রয়োজনে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।