সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন

কথা বলছে শাহীন

স্বদেশ ডেস্ক: এখন আর মুখে অক্সিজেন নেই। মাথার ব্যান্ডেজও খুলে ফেলা হয়েছে। তবে মাথার বড় ক্ষতটি এখনো পুরোপুরি শুকায়নি। ডাক্তার বলেছেন কয়েক দিনের মধ্যে ক্ষতটি সেরে যাবে। বুধবার রাতে কথা হচ্ছিল শাহীনের মা খাদিজা খাতুনের সাথে। প্রধানমন্ত্রী তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার পর সিট দেয়া হয় ঢাকা মেডিকেলের ১০নং ভিআইপি ওয়ার্ডে। গেল সাত দিন আগে সেখান থেকে তাদেরকে সেখান থেকে কোনো এক ভিআইপি আসবে এমন খবরে এখন তারা আছেন ২৪ নং কেবিনে। শাহীন এখনো আইসিইউ এর ১৯ নং বেডে ভর্তি।

দেখা যায়, শাহীনের মা খাদিজা খাতুন ও খালা জায়েদা কমলা, ডালিম, আম কাটছেন শাহীনের জন্য। তাকে এখন নিয়মিত খাবার দেয়া হচ্ছে। কথাও বলছেন সবার সাথে। কোনো বিষয় অপছন্দ হলে রাগও করছে।
শাহীনের সাথে দেখা হলে তার সাথেও কথা হয়। কেমন আছে জানতে চাইলে সে জানায়, ভালো আছে। দোয়া করবেন আমার জন্য।
এটুকুই বললো শাহীন। বেশি কথা বলা ডাক্তারের বারণ। দেখা যায়, খালা জায়েদার কাছে সে খাবার, পানি চেয়ে নিচ্ছে।

জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, শাহীনের অবস্থা এখন বেশ ভালো। বৃহস্পতিবার তাকে আইসিইউ থেকে বেডে পাঠানো হবে। অল্প কলেক দিনের মধ্যে সে সেরে উঠবে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে।
এর আগে গত ২৮ জুন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া কৃঞ্চনগর গ্রামের আমজামতলায় যাত্রীবেশে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা শাহীনকে (১৪) কুপিয়ে তার ইঞ্জিন চালিক ভ্যানটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

সে কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার মোড়লের ছেলে। শাহীনকে ধানদিয়ায় যাওয়ার কথা বলে ৩ থেকে ৪ জন যুবক তার ইঞ্জিন চালিত ভ্যান ভাড়া করে নিয়ে যায়। ধানদিয়া কৃঞ্চনগর আমজামতলা নামক স্থানে পৌছানোর পর শাহীনকে কুপিয়ে আহত করে অজ্ঞান অবস্থায় তারা ফেলে রেখে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে পথচারীরা বুঝতে পেরে শাহীনকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবণতি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877