স্বদেশ ডেস্ক:
দুর্দান্ত এক সফর শেষে জিম্বাবুয়ে থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন টাইগাররা। ৭ ম্যাচে ৬ জয়। হাতে তিন ট্রফি। এর আগে কোনো সফর থেকে এমন অর্জন নিয়ে ফেরেনি বাংলাদেশ দল।
জিম্বাবুয়ে থেকে বুধবার রওনা হয়ে জোহানেসবার্গ ও কাতারের দোহা হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন টাইগাররা। আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটে সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের বহনকারী কাতার এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তবে দীর্ঘ সফর শেষে দেশে ফিরে পরিবারের কাছে যেতে পারছেন না টাইগাররা। কারণ আগামী মাসের ৩ তারিখ থেকেই শুরু হবে মিশন অস্ট্রেলিয়া।
এক সপ্তাহে অসিদের বিপক্ষে ৫ টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ দল। এ সিরিজ শুরুর আগেই চারটি দুঃসংবাদ হজম করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
প্রথমটি হলো— হাঁটুর চোটের জন্য দুই মাস বিশ্রামের প্রেসক্রিপশনে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। করোনায় আক্রান্ত মা-বাবার পাশে থাকতে জিম্বাবুয়ে সফরের মাঝপথে দেশে ফিরেছিলেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। বায়ো বাবল ও কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তিনিও।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত শ্বশুরের পাশে থাকতে দলের আগেই দেশে ফিরেছেন আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান লিটন দাস। মুশফিকের মতো একই কারণে তিনিও খেলতে পারছেন না সিরিজে।
এদিকে পায়ের গোড়ালির চোটের কারণে প্রথম দুটি ম্যাচে দেখা নাও যেতে পারে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে।
সব মিলিয়ে ইনজুরি আর পারিবারিক সমস্যায় বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দল।
সফর সামনে রেখে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে আসা খেলোয়াড়দের।
এই কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়া শেষে দুদিন অনুশীলনের সুযোগ পাবেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। তবে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই। বাড়তি বিশ্রামের সুযোগও নেই।
এর পরই আগামী ৩ আগস্ট থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
আগামী ৩, ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট মিরপুর শেরেবাংলা হোমগ্রাউন্ডে হবে ম্যাচগুলো। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াড
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন ও তাইজুল ইসলাম।