রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন

সবার জন্য ভ্যাকসিনের পদক্ষেপ নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

সবার জন্য ভ্যাকসিনের পদক্ষেপ নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা প্রতিরোধকল্পে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর পুনরায় গুরুত্বারোপ করে পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে
তিনি বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ইনশাআল্লাহ কেউ বাদ যাবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সকলে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমি জানি আমাদের মানুষগুলো একটু গ্রামের উদ্দেশে ছুটতে পছন্দ করে, মাস্ক পরতে চায় না। কিন্তু প্রশাসনের যারা যেখানে দায়িত্বরত আছেন তারা একটু চেষ্টা করবেন মানুষকে বোঝাতে। তারা যেন মাস্কটা অন্তত পরে। আর যেন সাবধানে থাকে।’

সরকার প্রধান রোববার সকালে ২০২১ সালের জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় পর্যায়ক্রমে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে বাদ না পড়ে। সেভাবে কিন্তু আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছি। ভ্যাকসিন আসছে। আমাদের দেশের সকলেই যেন ভ্যাকসিন নিতে পারে তার জন্য যত ভ্যাকসিন দরকার আমরা কিনে আনবো ও দেশের সবাইকে সেই ভ্যাকসিন দেব।

তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি আমাদের দেশের মানুষ যেন কোনোরকম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে সকলে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেদিক দৃষ্টি দিতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজেকেই করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিবগণ ২০২১-২২ সালের এপিএ স্বাক্ষর করেন। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরকৃত ডকুমেন্ট গ্রহণ করেন। ৮ম বারের মতো এদিন এপিএ স্বাক্ষরিত হলো। মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এপিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ও স্বাগত বক্তব্যে রাখেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এবং জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারও প্রদান করেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম শ্রেষ্ঠ বিভাগ হিসেবে এপিএ সম্মাননা পাওয়ায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে অধিকতর কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, সোনার বাংলা বিনির্মাণে শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সাল হতে শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে। শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে শুদ্ধাচার চর্চাকারী কর্মচারীদের ২০১৭ সাল হতে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

সূত্র : বাসস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877