স্বদেশ ডেস্ক:
সীমান্ত হত্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আমাদের দেশের সীমান্ত এলাকায় এমন কিছু জায়গা রয়েছে একজনের বসতবাড়ি যেখানে, পাকের ঘরটা ওই প্রান্তে। আমাদের সীমান্ত এলাকার লোকজনের আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে তাদের যাওয়া আসার একটা প্রবণতা রয়েছে। এই জন্য অনেক সময় কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়। তখন বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে যায়।’
আজ শনিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এটার জন্য আমাদের মন্ত্রী পর্যায়েও কথা হচ্ছে এবং বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়েও কথা হচ্ছে। আমরা ওয়াদাবদ্ধ সেখানে আমর্সড (অস্ত্র) ব্যবহার করবো না। এটা আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে কমিটমেন্ট ঠিক রাখা যায়।’
গরু চোরাচালান বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের খামারীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু উৎপাদন করেছে। গতবার আমি গিয়েছিলাম তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমাকে বলেছিলো গরু তোমাদের আর দিতে চাই না। তখন আমিও বলেছিলাম তোমরা যদি দিতে না চাও আমরা গরু আর নিতে চাই না। আমরা গরুতে যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবুও দু’একজন অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা সীমান্ত পার হয়ে এসব করেন। সেই জন্যই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। আমাদের বিজিবি কঠিন অবস্থায় আছে। আমরা যতটুকু সম্ভব তার ভিত্তিতে এটা দমনের চেষ্টা করছি।’
এর আগে, অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি’র সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন বিওপি, বিএসপি নির্মাণসহ অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন, এটিভি ও অত্যাধুনিক এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও অতি সম্প্রতি এই বাহিনীতে অত্যাধুনিক অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন সংযোজন করা হয়েছে। বিজিবি’র প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে চুয়াডাঙ্গায় আরেকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিবির তৃ-মার্তৃক আধুনিকায়নের ফলে অনেক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব সীমান্ত পিলারের কাছে আগে যেতে পারতাম না যেগুলো পিলারের কাছে আমরা এখন নিয়মিত টহল দিতে পারছি। সীমান্ত পারাপার আগের তুলনায় অনেক কমেছে।’