স্বদেশ ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের কারাবন্দি দিবস, আর তার কারামুক্তি দিবস দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গণতন্ত্রের কারামুক্তি দিবস হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে।’ আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতির ইতিহাসে ওয়ান ইলেভেন একটি দুষ্টু ক্ষত। এটি তৈরি হয়েছে বিএনপির হঠকারী এবং ক্ষমতালোভী রাজনীতির কারণে। ইয়াজউদ্দীন একদিকে রাষ্ট্রপতি অপরদিকে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে বিএনপি একতরফা নির্বাচনের নীল নকশা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। তারপর দেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের ওপর নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে আরেকটা ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করতে। সেই দিন আর আসবে না। যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় যাবার ষড়যন্ত্র করছে তাদের সে খোয়াব দেশের জনগণ কখনো সফল হতে দেবে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেন ছিল রাজনীতিবিদদের জন্য পাঠশালাস্বরূপ। সেখান থেকে রাজনৈতিক কর্মীদের শেখার অনেক কিছু আছে। রাজনীতি মানে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো নয়, জনগণের জন্য নির্মোহ রাজনীতি করলেই জনগণই পুরস্কৃত করে। তার উজ্জ্বল উদাহরণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জনগণের আকাশচুম্বী সমর্থন।’
আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ ও জনগণ থেকে দূরে সরাতে অতীতেও পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।’
করোনার এই সংকটে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল জনগণের পাশে নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ঘরে বসে বিষোদগার করে যাচ্ছে।’
করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রাচীর গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শতভাগ মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।’
আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয় চৌধুরী, ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।