স্বদেশ ডেস্ক:
কোপা আমেরিকার ফুটবল খেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ১১ জুলাই ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকলেও সেদিন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। কিন্তু শঙ্কা রয়েই গিয়েছিল। সেটি বাস্তবে রুপ নেয় গতকাল বৃহস্পতিবার। সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনার রেশ ধরে সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
আহতরা হলেন, মিনার মিয়া, মো. আলম, রবিউল, জালাল মুন্সি ও ফুরকান মুন্সি। তাদের মধ্যে মিনার মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় খেওয়াই গ্রামের সর্দার বাড়ির শিপন (১৯) ও মুন্সি বাড়ির হৃদয়ের (১৮) বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হৃদয় আর্জেন্টিনা এবং শিপন ব্রাজিল দলের সমর্থক। এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে সকালে এলাকায় পুলিশ আসে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল। তিনি জানান, গত ১১ জুলাই ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে পুলিশি তৎপরতা থাকায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল রাতে এক পক্ষ আরেক পক্ষের সঙ্গে তর্ক শুরু করে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশকে জানালে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৭ জুলাই বিকেলে এবং সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। ব্রাজিল সমর্থকদের পিটুনিতে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনজন। পরে ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। দুই দলের ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে জেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে সেদিন ভোর ৫টা থেকে মাঠে মোতায়েন ছিল পুলিশ। জনগণকে বাইরে বের না হয়ে নিজের বাসায় বসে খেলা দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়, চায়ের দোকানে বা বড় কোনো স্ক্রিনে গণজমায়েত করে প্রকাশ্যে খেলা দেখা যাবে না। যার যার বাড়িতে বসে খেলা দেখতে হবে। ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে যারা ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, তাদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।