স্বদেশ ডেস্ক:
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা উপসর্গে ১৯ জন এবং করোনা শনাক্ত হওয়ার পরে মারা গেছেন আরও তিনজন। করোনা শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আজ সোমবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণ তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বরিশাল জেলায় ২১৬ জন। এ পর্যন্ত এই জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬১২ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ১৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮৬৮ জন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছেন ঝালকাঠি জেলায় ১১৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ২ হাজার ৭৮৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৯১ জন।
পটুয়াখালী জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৪৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯২ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৫৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৮৬ জন।
বরগুনায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৬৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু নিয়ে জেলায় মোট মারা গেছেন ৩৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৩৩ জন।
পিরোজপুর জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৯৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৯৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৫১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮১৯ জন।
ভোলা জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩৭ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪১ জন।
এদিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে ৩৫ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ৩০৭ জন চিকিৎসাধীন রোগী আছেন। যার মধ্যে ৭৭ জনের করোনা পজিটিভ, ২৩০ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা আরটি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর মধ্যে ১২১ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন ৭১০ জন। আক্রান্তের হার ছিল ৬২ দশমিক ২৩ শতাংশ।