শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সকলকে টিকা দিতে ২০২৪ সাল লেগে যাওয়ার শঙ্কা সংসদীয় কমিটির

সকলকে টিকা দিতে ২০২৪ সাল লেগে যাওয়ার শঙ্কা সংসদীয় কমিটির

স্বদেশ ডেস্ক: বিদেশ থেকে টিকা আমদানির যে গতি তাতে সকলকে করোনা ভাইরাসের টিকা দিতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে টিকা আমদানি সার্বিক প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। বৈঠকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ টিকা সেপ্টেম্বরে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। আজ  জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে টিকা কার্যক্রম দ্রুত করার সুপারিশ করা হয়। কমিটি সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, এখনকার গতি নিয়ে সন্তুষ্টির কিছু নেই। টিকা আনার অগ্রগতি নিয়ে আমরা আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। যেরকম আমরা জেনেছি প্রতিমাসে গড়ে ৫০ লাখের মত আসতে পারে।

সেই হিসেবে ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষের জন্য ২৬ কোটি ডোজ লাগবে। তাহলে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে তো ২০২৪ সাল লেগে যাবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কবে নাগাদ টিকা আসবে সে বিষয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফারুক খান বলেন, ভারতের সেরামের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তির আওতায় টিকা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে টিকা পাঠানো শুরু করবে। গত মে মাসে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল। বিষয়টি রবিবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফারুক খান বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে, ভারত দুঃখ প্রকাশ করেছে। এদিকে বৈঠকে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বিদেশ যাত্রা রোধে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় যৌথ কমিটি করে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, কিছুদিন পরপর খবর আসে অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার সময় সাগরে বাংলাদেশির মৃত্যু। এটা তো আমাদের জন্য ইজ্জতের ব্যাপার। আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাচ্ছি, সেদিক থেকে দেখলে এটা নেতিবাচক। যারা আটক হয়ে ফিরে আসছে তাদের রিমান্ডে নিয়ে কারা অবৈধভাবে পাঠাচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেছি। এজন্য আমরা পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে যৌথ কমিটি করে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। বৈঠকে দেশের বাইরে বাংলাদেশের দূতাবাসে দুর্নীতির নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, লেবানন ও ইতালির মিলানে আমাদের দূতাবাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেটা নিয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিলানে যে দায়িত্বে ছিল তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ বার বার যাতে শুনতে না হয় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877