স্বদেশ ডেস্ক: কিছুদিন কম থাকলেও ইদানিং আবারো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু বেড়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়াকড়ি অবস্থানে থাকলেও মানুষ তা মানছে না। বিশেষ করে শহর এলাকার অলি-গলি এবং গ্রামাঞ্চলের হাট- বাজারে মানুষ লকডাউনের বিধি নিষেধের তোয়াক্কা করছে না।
সরকার বাইরে সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও অনেকেই তা মানছেন না। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি জুলাই মাসে এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত হয়ে এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মোট ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন করোনা শনাক্ত হয়ে এবং ১২ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে খবরটি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন। তিনি বলেন, ‘বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত মমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনায় মারা গেছেন ময়মনসিংহ সদরের ইদুন্নেসা (৮০), নগরীর আকুয়া এলাকার শামসুল আলম (৭৫), নেত্রকোনা সদরের কুলসুম আক্তার (৫৫), শেরপুর সদরের বিশ্বজিৎ দেব (৭৫) ও ঝিনাইগাতী উপজেলার মোরশেদা বেগম (৬৫)। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন- ময়মনসিংহ সদরের আব্দুল আজিজ (৪২), ডা. মোহাম্মদ মোস্তফা (৭৩),
ফুলবাড়িয়া উপজেলার ইব্রাহিম মিয়া (৫০), নান্দাইলের রুপা বেগম (১৯), শেরপুর সদরের রিপন ঘোষ (৪৫), রাশিদা বেগম (৫০), নালিতাবাড়ির শামিমা বেগম (৪৫), নেত্রকোনা সদরের হোসেন আলী (৮০), আব্দুল জব্বার (৯২), জামালপুর সদরের মোজাহিদ মিয়া (২২) ও আবু বকর (৫৯) এবং সরিষাবাড়ি উপজেলার নারগিস আক্তার (২২)।‘
ডা. মহিউদ্দিন খান মুন আরও বলেন, ‘করোনা ইউনিটে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভর্তি আছেন ৩৮১ জন রোগী। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ২১ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ জন। এদিকে ময়মনসিংহ জেলায় বেড়েছে করোনা শনাক্তের হার। ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।