স্বদেশ ডেস্ক:
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার আশপাশের কয়েকটি জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনের আওতায় এনেছে সরকার। এতে বন্ধ হয়ে যায় দূরপাল্লার সব যান চলাচল। ফলে কার্যতই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী। গতকাল ভোর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হলেও জানতেন না অনেকেই। বিভিন্ন স্থানে তাই জরুরি কাজে গিয়ে আটকা পড়েছেন কেউ কেউ।
লকডাউনের প্রথম দিন হিসেবে অনেক স্থানেই কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে সবার মধ্যেই চলে আসে ঢিলেঢালা ভাব। ঢাকা থেকে মূলত গাবতলী বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকেই দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়। তবে গতকাল এ তিনটি টার্মিনাল থেকে দেশের কোথাও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। একই অবস্থা ছিল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও। সকাল থেকে সদরঘাট থেকে দেশের কোথাও কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল অন্য পরিবহনগুলোও। এত কিছুর পর ঢাকামুখী মানুষের স্রোত অবশ্য থামেনি। দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই বিকল্প যানে করে সাত থেকে দশগুণ বেশি ভাড়ায় লোকজনকে ঢাকায় আসতে দেখা যায়।
হঠাৎ ঘোষিত লকডাউনে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কাজে আটকে থাকা মানুষজনের ঢাকায় ফেরা ছিল কষ্টকর। গত রবিবার অফিসিয়াল কাজে টাঙ্গাইল যান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রনি মাহবুব। সোমবার সন্ধ্যায় লকডাউনের ঘোষণা শুনেন তিনি। কাজ শেষ করতে না পারায় ফেরা সম্ভব ছিল না। রাত পোহাতেই মঙ্গলবার ভোরেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। বাসে উঠেন টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে। তবে মির্জাপুর উপজেলার হাঁটুভাঙা পর্যন্ত আসতে পারলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাস থামিয়ে দেয়। এর পর বিকল্প উপায়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছান সন্ধ্যায়। ভোগান্তির পাশাপাশি রনি মাহবুবকে গুনতে হয়েছে প্রায় দেড় হাজার টাকা। যদিও মধুপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত আসতে খরচ হয় আড়াইশ টাকার মতো।
নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দা আফনান আলী। কাজ করেন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। যাতায়াত সুবিধা ভালো থাকায় নিজ বাড়ি থেকেই নিয়মিত অফিস করেন। তবে গতকাল গণপরিবহনের অভাবে তিনি অফিস করতে পারেননি। আফনান আলী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো বলে বাড়ি থেকেই প্রতিদিন অফিস করি। কিন্তু বিপাকে পড়লাম। কোনো ধরনের পরিবহন নেই। অফিসেও যেতে পারিনি। বেসরকারি অফিসে চাকরি করি। অফিস তো আর বন্ধ দেওয়া যাবে না। তাই বিকল্প কোনো উপায় বের করার চেষ্টা করছি।’ আফনান আলীর মতো নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলাগুলো থেকে এসে অনেকেই ঢাকায় বিভিন্ন অফিসে চাকরি ও ব্যবসা করেন। কিন্তু হঠাৎ লকডাউনের কারণে তারা বিপাকে পড়েছেন।
গতকাল সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বাস কাউন্টারের সামনে মানুষের জটলা। যারা বেশিরভাগই জানতেন না লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। অনেকেই আবার অগ্রিম টিকিট করে রেখেছিলেন। তাদেরই একজন মুহসীনা মিতু। মাকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে খুলনা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন গেল সপ্তাহে।
গতকাল বাসের টিকিট কাটা ছিল। সকালে টার্মিনালে এসে জানতে পারেন গাড়ি বন্ধ। মুহসীনা মিতু বলেন, ‘বিপাকে পড়লাম। বাড়িতে কীভাবে যাব, বুঝতে পারছি না। এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছিলাম। কিন্তু কতদিন থাকা যায় বলেন।’ কেবল গাবতলী বাস টার্মিনালই নয়, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালেও একই অবস্থা। সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। অনেকেই অবশ্য বিকল্প উপায়ে ঢাকার ছেড়েছেন। তবে এক্ষেত্রে গুনতে হয়েছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। ফেনীর বাসিন্দা খাদিজা খাতুন। পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে সায়েদাবাদ এসেছেন। তবে গাড়ি নেই। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন বাসের জন্য। অবশেষে উপায় না পেয়ে মাইক্রোবাসে প্রতিজন ১৩০০ টাকায় ঢাকা ছাড়েন।
এদিকে গতকাল দুপুরের দিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়েও দেখা গেছে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন। বেশ কিছু লঞ্চ সরিয়ে অন্যত্র নোঙর করা হয়েছে। আবদুল্লাহপুর থেকে আসা তমিজা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘আমি পটুয়াখালী যাব। বেলা ১টার দিকে টার্মিনালে এসে শুনি লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। লঞ্চ ছাড়া বাড়ি যাওয়ার আর কোনো সুযোগও নেই। তাই গন্তব্যে যেতে না পেরে বাসায় ফিরে যাচ্ছি।’ সাভার থেকে আসা আরেক যাত্রী আল আমীন মিয়া বলেন, ‘চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবার নিয়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসেছিলাম। কিন্তু ঘাটে এসে লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি, লঞ্চ চলাচল বন্ধ। পরে দেখি লালকুঠি ঘাট এলাকায় মাইক্রোবাসে চাঁদপুর যাওয়ার জন্য চালক ডাকছেন। হাজীগঞ্জ পর্যন্ত যেতে জনপ্রতি ৮০০ টাকা ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। ছেলেমেয়েসহ চারজনের তিন হাজার ২০০ টাকা ভাড়া চেয়েছে। কোনো উপায় না পেয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই রওনা হচ্ছি।’
এদিকে ঢাকার চারপাশের জেলাগুলোতেও ছিল প্রায় একই চিত্র। কোথাও কঠোর লাকডাউন পালন করতে দেখা গেলেও বেশিরভাগ এলাকাতেই ছিল ঢিলেঢালা। আমাদের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
মানিকগঞ্জ : লকডাউনের প্রথম দিন মানিকগঞ্জে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পিকআপভ্যান, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা যায়। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটেও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিল। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা জানিয়েছেন, জেলার প্রবেশমুখ বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড, সিঙ্গাইরের ধল্লা, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, জেলা শহরের খালপাড়, জরিনা কলেজ মোড়, বরঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, আরিচা-পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যাত্রীরা চলাচল করছে বিকল্প পন্থায়। এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বহরে থাকা ১৪টি ফেরি দিয়ে জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি পার করা হচ্ছে। যানবাহন পারাপারের সময় কিছু যাত্রী ফেরিতে উঠে পড়ায় তাদেরও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পার করে দেওয়া হচ্ছে।’
গাজীপুর : বন্ধ রাখার কথা থাকলেও সকালের দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দূরপাল্লা ও আঞ্চলিক সড়কে দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের তৎপরতায় তা বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন কর্মস্থলে যাওয়া অনেক কারখানা শ্রমিক। অনেকে ভেঙে ভেঙেই হালকা যানবাহনে চড়ে বাড়তি ভাড়ায় কর্মস্থলে পৌঁছান। শ্রীপুরের মাওনা মহাসড়ক থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘সকালে কিছু নাইট কোচ যাত্রী নিয়ে চলে গেলেও পরে যে গাড়িগুলো এসেছে আমরা সেগুলো থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে দিই।’
জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সেগুলো খোলা রয়েছে। তবে বিজিএমইএকে অনুরোধ করা হয়েছে কারখানার মালিক ও কর্মকর্তাদের লকডাউনের ওই সময়ে কারখানা এলাকায় অবস্থান করতে। এ ছাড়া যেসব মুদি ও ক্ষুদ্র দোকানপাট এখনো খোলা রয়েছে, সেগুলোতে ত্রাণ দিয়ে বন্ধের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মাদারীপুর : জনসাধারণের মধ্যে লকডাউন মানার তেমন কোনো আগ্রহই দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছেন তারা। এদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি সেবার যানবাহন নিয়ে বাংলারবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল করছে। মাঠপর্যায় লকডাউন কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।
মুন্সীগঞ্জ : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাজধানীর উপকণ্ঠ মুন্সীগঞ্জে কঠোর লকডাউন চলছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে সড়ক ও নৌপথের সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এক প্রকার রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জেলার ছয় উপজেলা। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে জেলার শপিংমল ও দোকানপাটও। এতে করে শহরে মানুষের আনাগোনা কমই লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ১০টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। বহিরাগতদের প্রবেশ রোধ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল করছে। বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) প্রফল্ল চৌহান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। এসব ফেরি দিয়ে দিয়ে শুধু কাঁচামাল, পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি রোগীবাহী গাড়ি পার করা হচ্ছে। সাধারণ যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। ঘাটে গাড়ির চাপ নেই।
গোপালগঞ্জ : লকডাউনের প্রথম দিনে গোপালগঞ্জ শহরের বাজারগুলোতে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। সকাল থেকে কাঁচাবাজারে অনেককেই দেখা গেছে মাস্কছাড়া ঘুরতে। অপ্রয়োজনেই বের হয়েছেন অনেকে। সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে কয়েকটা যান চলাচল করতে দেখা গেলেও তাদের আটক করেছে পুলিশ। অনেককে অবশ্য ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে অবশ্য গতিরোধ করছে পুলিশ। গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যান। লোকাল বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ : জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের একাধিক চেকপোস্ট থাকায় নারায়ণগঞ্জে চলছে কঠোর লকডাউন। সব ধরনের গণপরিবহনই বন্ধ হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকেই চলাচল করতে দিচ্ছে না প্রশাসন। জেলায় যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়ার নিরুৎসাহিত করতে দুপুর পর্যন্ত সাইনবোর্ড এলাকা থেকে দুইশতাধিক নারায়ণগঞ্জমুখী যানবাহন ফিরিয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং। সতর্ক করা হচ্ছে অধিবাসীদের। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ফেনী : জেলায় শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। ভোর থেকেই ফেনী থেকে কোনো যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। স্টার লাইন কাউন্টারে গিয়ে ঢাকাগামী শত শত যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে পরিবহনটির পরিচালক মাইন উদ্দিন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ এসে ঢাকার দিকে গাড়ি ছাড়তে নিষেধ করে গেছে। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকামুখী গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রতিদেবনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আশরাফুল আলম লিটন (মানিকগঞ্জ), আবুল হাসান (গাজীপুর), শফিক স্বপন (মাদারীপুর), নাদিম হোসাইন (মুন্সীগঞ্জ), সৈয়দ মুরাদুল ইসলাম (গোপালগঞ্জ), সম্পা রায় (শিবচর), আবু সাউদ মাসুদ (নারায়ণগঞ্জ), মুহাম্মদ আরিফুর রহমান (ফেনী), মো. রফিকুল ইসলাম (রাজবাড়ী), মোহাম্মদ আলী শাহীন (দাউদকান্দি), মো. আবু জুবায়ের উজ্জল (টাঙ্গাইল)।