স্বদেশ ডেস্ক:
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় এক নারীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন সাবেক স্বামী। কিন্তু ওই নারী তা প্রত্যাখ্যান করেন। একে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে লিটন মোল্ল্যা (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের মহিলা কলেজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম পারভীন বেগম (২৮)। তার বাবার নাম মান্নান শেখ। তাদের বাড়ি উপজেলার সদরের পূর্ব-ডুমুরিয়া গ্রামে। গতকাল রাত ১টার দিকে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত লিটন মোল্ল্যা বাজারের ট্রলার-ঘাট এলাকার বাসিন্দা কিনু মোল্ল্যার ছেলে। ঘটনার পর থেকে লিটন পলাতক।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৮ বছর আগে লিটন ও পারভীনের বিয়ে হয়। তাদের আগের ঘরের সন্তানও রয়েছে। লিটনের এটি তৃতীয় এবং পারভীনের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। পেশায় শ্রমিক এ দম্পতি বিয়ের শুরু থেকে ভালোভাবেই সংসার করছিলেন। কিন্তু তারপর বিবাদ শুরু হয়। বেশ কয়েকবার আলাদাও বসবাস করেছেন তারা। সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে পারভীনকে ফের তার সঙ্গে সংসার শুরু করতে প্রস্তাব দিচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু তা মেনে না নেওয়ায় খুন হন পারভীন।
ঘটনার তদন্তকারী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, ডুমুরিয়া মহিলা কলেজের পাশে সামছু ফকিরের ভাড়াটিয়া পারভীন বেগম রাতের খাবার খেয়ে তার ৮ বছর বয়সী মেয়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে তার সাবেক স্বামী লিটন মোল্ল্যা এসে তাকে দরজা খুলতে বলেন। একপর্যায়ে লিটন দরজা ভেঙে ঘর থেকে তুলে এনে পারভীনকে ছুরিকাঘাত করেন। পরভীনের মাথার পেছনে, বুকের পাশে, তলপেট ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করেন লিটন। পরভীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘রাত ২টায় খুনের ঘটনাস্থলে যাই। নিহত নারী তখনো সেখানে ছিলেন। আমরা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ম্যানেজ করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে লিটন পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ খুমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।’ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানান।