স্বদেশ ডেস্ক:
ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬৫) ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে (৩৩) রাজধানীর বিমানবন্দরে দায়ের হওয়া মামলায় ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি নাসিরের তিন নারীকে ৩ দিন করে রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আসামিদের রিমান্ডে নিতে আদালতে তুলে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)। তারা নাসিরের রক্ষিতা হিসেবে কাজ করতেন।
এর আগে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে বলে জানায় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে তোলা হয়। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানায় মামলার বাদী গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান মানিক কুমার সিকদার।
গতকাল সোমবার দুপুরে ওই পাঁচজনকে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ওইদিন সকালে ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদসহ ছয়জনকে আসামি করে সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমনি।
অভিযান শেষে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের জানান, এটা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার অমির বাসা। পরীমনির সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে ওই তিন নারীকে নিয়ে এ বাসায় পালিয়ে ছিলেন নাসির। মাদক রাখার অভিযোগে সেই তিন নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, রোববার (১৩ জুন) রাত পৌনে ১১টার দিকে বনানীর নিজ বাসায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন পরীমনি। তার আগে পরীমনির একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে মুহূর্তেই তোলপাড় হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।